উত্তর প্রদেশে সপা-বসপা আসন সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু হতেই অখিলেশ যাদবকে জেরার প্রস্তুতি সিবিআই-এর

আসন্ন লোকসভায় উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং বসপা’র আসন সমঝোতার চূড়ান্ত বোঝাপোড়ার মাঝেই অখিলেশ যাদবকে জেরার তোড়জোড় শুরু করে দিল সিবিআই! শুক্রবার রাতেই দিল্লিতে সপা নেতা অখিলেশ যাদব এবং বসপা নেত্রী মায়াবতী বৈঠক করে উত্তর প্রদেশে আসন সমঝোতার ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করেছেন। আর শনিবারই উত্তর প্রদেশের পুরনো বালি খাদান মামলা জাগিয়ে তুলল সিবিআই।
সূত্রের খবর, বালি খাদান দুর্নীতি কাণ্ডে এবার উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে জেরা করতে পারে সিবিআই। ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বে ছিলেন অখিলেশ। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে মন্ত্রীরা ওই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সবাইকে জেরা করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে একাধিক শীর্ষ আমলাকেও। ইতিমধ্যেই, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী গায়ত্রী প্রজাপতি, যিনি অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁকে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। এই দুর্নীতির তদন্তে শনিবার দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।
একাধিক আমলা, যাঁর মধ্যে রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়া আইএএস অফিসার বি চন্দ্রকলা, তাঁর বাড়িতেও এদিন হানা দেয় সিবিআই তদন্তকারী দল।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মইনুদ্দিন নামে এক সরকারি অফিসারের বাড়ি থেকে নগদ ১২.৫ লক্ষ টাকা ও ১.৮ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাম অবতার সিংহ নামের এক সরকারি ক্লার্কের বাংলো থেকে নগদ ২ কোটি টাকা ও ২ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, আরও বেশ কিছু নেতা, আমলার বাড়িতে হানা দিতে পারে সিবিআই।
আদালতের নির্দেশে এই দুর্নীতির তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিয়াই। সাম্বলি, কুশাম্বি, ফতেপুর, দেওরিয়া, সাহারনপুর, হামিরপুর, সিদ্ধার্থনগরসহ উত্তর প্রদেশের সাত জায়গায় এই বালি খাদান দুর্নীতির অভিযোগ আছে। মূল অভিযোগ, নিয়ম ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অমান্য করে বালি তোলার জন্য ওই খাদানগুলি থেকে বিভিন্ন সংস্থাকে অনুমতি দেয় তৎকালীন অখিলেশ যাদব সরকার।

Comments are closed.