পাসওয়ানদের এডিএ তে ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি, রামবিলাসের সঙ্গে বৈঠক অমিত শাহের

কয়েকদিন আগেই পদ্ম শিবির ছেড়ে এনডিএ ত্যাগ করেছেন বিহারের দীর্ঘ দিনের জোট সঙ্গী উপেন্দ্র কুশওয়াহা। এই অবস্থায় বিহারে বিজেপির নয়া চিন্তার কারণ রাম বিলাস পাসওয়ানের এলজেপি। এলজিপি নেতা তথা রামবিলাস পাসওয়ান পুত্র চিরাগ পাসওয়ান ইতিমধ্যেই আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে বিহারে দ্রুত সিট ভাগাভাগি করা প্রয়োজন বলে ট্যুইট করে চাপ বাড়িয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর। অন্দরের খবর, আসন সমঝতা ও দর কষাকষি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের মনোভাব নিয়ে খুশি নয় এলজেপি নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন রামবিলাস পাসওয়ান ও চিরাগ পাসওয়ান। লোকসভা ভোটের আসন সমঝোতা নিয়ে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। তবে জানা গেছে, এদিনের বৈঠক থেকেও কোনও সমাধান সূত্রে পৌছতে পারেনি দুই দল। যদিও প্রকাশ্যে রামবিলাস পাসওয়ান আসন সমঝোতা নিয়ে দুই দলের সংঘাতের কথা মানতে চাননি। জানিয়েছেন, ছেলে চিরাগ পাসওয়ান এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বস্তুত এবারে আর নিজে নয়, বরং ছেলে চিরাগকেই বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষির দায়িত্ব দিয়েছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চিরাগ নাকি নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে বেশ কড়া অবস্থান নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, চিরাগ গত ১১ ডিসেম্বর অরুণ জেটলিকে একটি চিঠি লিখে নোট বাতিলের ফলে কী কী সুবিধা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন, যাতে বিষয়টি তিনি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে পারেন।
তবে সূত্রের খবর, এই দুই শরিক দলের বিবাদের কারণ যত না লোকসভা আসন, তার থেকেও বেশি একটি রাজ্যসভা সিট নিয়ে। জানা গেছে, কয়েকমাস আগে বিজেপি নেতৃত্ব নাকি পাসওয়ানদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিহারে তাদের ৪ টি সিট ছাড়বে বিজেপি। সঙ্গে অসমের একটি রাজ্যসভা সিটও দেওয়া হবে রামবিলাসকে। কিন্তু সম্প্রতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএ ছাড়ার পর, বিজেপি নাকি এলজেপিকে বিহারে ৬ টি সিট ছাড়তে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাজ্যসভা সিট নিয়ে তারা আর কোনও উচ্চবাচ্য করছে না৷ এদিকে এলজেপি চাইছে রাজ্যসভা আসনটি নিশ্চিত করতে। তাই এই বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন চিরাগ পাসওয়ান।

Comments are closed.