২০১৯ এর লোকসভা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ, হারলে দাসত্বঃ অমিত শাহ

আগামী লোকসভা নির্বাচনকে তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শুক্রবার দিল্লির সভা থেকে অমিত শাহ বলেন, ১৭৬১ সালের মারাঠা ও আফগানের যুদ্ধের মতোই হতে চলেছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের লড়াই। তাঁর কথায়, আগামী নির্বাচন হবে আদর্শের লড়াই। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মহাজোটের কোনও তাৎপর্য নেই বলে কটাক্ষ অমিতের। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী শক্তিরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে, তাদের না আছে কোনও আদর্শ, না আছে নির্দিষ্ট নেতৃত্ব। তিনি বলেন, পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠাদের হারে দাসত্ব শুরু হয়েছিল, যা ২০০ বছর ধরে চলে। একই ধরনের লড়াই হতে চলেছে আগামী লোকসভায়।
২০১৪ সালের নির্বাচনে ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ২৮২ টিতে জয়লাভ করে নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিজেপি। ২০১৯ এর নির্বাচনে আগের রেকর্ডকে ছাপিয়ে আরও বড় ব্যবধানে বিজেপি জয়ী হবে বলে হুঁশিয়ারি দলের সভাপতির। অমিত শাহ জানান, তিনি একপ্রকার নিশ্চিত, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিরোধীদের হারিয়ে ফের দেশ শাসনের ভার তাঁদের হাতেই তুলে দেবে জনগণ। এনিয়ে কোনও সংশয় নেই তাঁর। পাশাপাশি, সম্প্রতি হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের হারের কোনও প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বে না বলে দাবি অমিতের। তিনি জানান, কয়েকটি উপনির্বাচন বা বিধানসভার ফল দিয়ে লোকসভা ভোট বিচার করা যায় না। অখিলেশ ও মায়াবতীর জোটকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, ‘পিসি-ভাইপো’ পরস্পরকে সহ্য করতে পারতেন না, তাঁরা এখন জোট করেছে বিজেপির ভয়ে। বিজেপি সভাপতির প্রত্যয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমকক্ষ একজন নেতাও নেই বিরোধী শিবিরে। ‘অপরাজেয় যোদ্ধা’ মোদী কখনও হারতে শেখেননি।
শুক্রবার, মোদী প্রশস্তি করে অমিতের কটাক্ষ, বিরোধীরা পরস্পরের হাত ধরে যুদ্ধে নামছে কেবল এক যোদ্ধার বিরুদ্ধে, তিনি আর কেউ নন নরেন্দ্র মোদী। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয়, দূরদর্শী এবং কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে রাফাল দুর্নীতির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে অমিতের পালটা দাবি, কংগ্রেস সভাপতি ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী বিবিধ দুর্নীতির মামলায় যুক্ত।
অযোধ্যা প্রসঙ্গও উঠে এল বিজেপি সভাপতির গলায়। অমিতের দাবি, বিজেপি সরকারও চাইছে দ্রুত শুরু হোক রাম মন্দির তৈরির কাজ। কিন্তু অহেতুকভাবে কংগ্রেসের বাধাতেই শীর্ষ আদালতে ধীর লয়ে চলছে অযোধ্যা মামলা।

Comments are closed.