বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু প্রতিশ্রুতিমান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের, টেকনিকাল জ্ঞান না থাকলেও সেই বিভাগেই কাজ করতে বাধ্য করে রেল

মর্মান্তিকভাবে অকাল মৃত্যু হল রাজ্যের প্রথম সারির প্রতিশ্রুতিমান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহে কর্মরত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মাত্র ২৪ বছরের ত্রিণাঙ্কুর নাগের মৃত্যু হল সোমবার। গত ২৪ শে নভেম্বর কর্মরত অবস্থায় ত্রিণাঙ্কুর নাগ ওভারহেড তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলেন। তাঁকে দ্রুত ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় ত্রিণাঙ্কুরের। রাজ্যের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে সিঙ্গলসে এই মুহূর্তে ত্রিণাঙ্কুরের নাগের র‍্যাঙ্কিং ছিল ১১। ডবলসে র‍্যাঙ্কিং ছিল আরও ভালো। জুনিয়র ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ষষ্ঠ। ‘মরিশাস ওপেনে’ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেন ত্রিণাঙ্কুর।

ত্রিণাঙ্কুরের পরিবারের অভিযোগ, টেকনিকাল বিষয়ে পারদর্শী না হওয়া সত্ত্বেও, কমার্শিয়াল কাজে বহাল না করে তাঁকে ‘টেকনিকাল ডিপার্টমেন্টে’ পোস্টিং দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। ত্রিণাঙ্কুরের বাবা তপন নাগের অভিযোগ, ‘তাঁর ছেলের টেকনিকাল জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও রেল এক প্রকার বাধ্য করে ত্রিণাঙ্কুর ওই কাজ করতে। সব সময় এনিয়ে ভয়ে থাকত ছেলে।’ তপনবাবুর অভিযোগ, তাঁকে টেকনিকাল বিভাগ থেকে সরিয়ে কমার্শিয়াল বিভাগে বহাল করার গত ৫ বছর ধরে বহুবার পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে আবেদন করেন ত্রিণাঙ্কুর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে একাধিকবার ট্রান্সফার করা হলেও, প্রতিবারই টেকনিকাল বিভাগের কার্যভারই দেওয়া হয়। ত্রিণাঙ্কুর ও তাঁর পরিবারের ভয়ই সত্যি হল শনিবার। শনিবার কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্পোর্টস কোটা থেকে যাঁরা নির্বাচিত হন তাঁদের নির্দিষ্ট বিভাগে কাজ করতে হয়। যদি তিনি ওই কাজে রাজি না থাকেন সেক্ষেত্রে চাকরি ছাড়তে হয়। প্রার্থীকে অন্য কোনও বিভাগে কাজ দেওয়া রেলের আইন বিরুদ্ধ। তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলার ব্যাডমিন্টন মহল।

Comments are closed.