মাথা পিছু আয়ের নিরিখে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতকে পিছনে ফেলতে পারে বাংলাদেশ

দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সংবাদপত্র বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩- ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনটি আর্থিক বছরে বর্তমান ডলার মূল্যের নিরিখে গড়ে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে প্রায় ১২.৯ শতাংশ। যা ভারতের ওই একই সময়ের জিডিপি বৃদ্ধির হারের (৫.৬)তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। মূলত বিদেশি বিনিয়োগ এবং রফতানি বাণিজ্যের হাত ধরেই বাংলাদেশের অর্থনীতির এই বৃদ্ধি।
এই সূত্র ধরেই ২০১৩-২০১৬ এর তিনটি অর্থবর্ষে বাংলাদেশে মাথা পিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে। যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই তিন বছরে ভারতে মাথা পিছু আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে এভাবে চললে ২০২০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাপিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। বর্তমানে ভারতীয়দের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশিদের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। যা ২০১১ সালে ছিল ৮৭ শতাংশ। ১৯৭০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভারতই ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে দ্রুত গতির অর্থনীতি। এখন সেখানে দ্রুত গতিতে উত্থান হচ্ছে বাংলাদেশের।

তবে শুধু জিডিপি বা মাথা পিছু আয়ের অঙ্কে নয়, বেশ কয়েকটি সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন মাপকাঠির নিরিখেও ভাল ফল করেছে বাংলাদেশ। ইউনাইটেড নেশনের একটি শাখা সংখ্যা (ইউএনসিটিএডি), ইউএন স্ট্যাটস এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের পেশ করা ২০১৬ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি হাজারে বাংলাদেশে সদ্যোজাতের মৃত্যুর হার ২৮.২ শতাংশ। যা ভারতে ছিল ৩৪.৬ শতাংশ। এছাড়াও রিপোর্টটিতে আরও বলা হয়েছে ভারতে মানুষের গড় আয়ু ৬৮ বছরের কাছাকাছি। যা বাংলাদেশে প্রায় ৭২ বছর।

Leave A Reply

Your email address will not be published.