২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারে সমান আসনে লড়বে বিজেপি ও জেডিইউ

সিবিআই বিতর্ক নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এরই মাঝে বিহারে স্পষ্ট হয়ে গেল আগামী লোকসভা ভোটের সমীকরণ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেল আসন সমঝোতা। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে যৌথভাবে বিবৃতি দিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও নীতিশ কুমার জানিয়ে দিলেন, বিহারে সমান-সমান আসনে লড়বে বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)।
দিল্লিতে এদিন সন্ধেয় অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ কুমার ৷ তারপর উভয় তরফে আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হয়। অমিত শাহ বলেন, ‘২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেড সমান সংখ্যক আসনে লড়বে বলে ঠিক হয়েছে। অন্যান্য শরিক দলকেও সম্মানজনক আসন দেওয়া হবে।’
২০১৪ র নির্বাচনের আগে বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও, গত বছর ফের তাদের সঙ্গেই জোট বাঁধে জেডিইউ ৷ সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে অমিত শাহ জানান, লোকসভা ভোটে শরিক দলগুলি তাদের সঙ্গে থেকে এককভাবে লড়াই করতে রাজি হয়েছে বিহারে ৷ বলেন, ‘উপেন্দ্র কুশওয়াহা ও রাম বিলাস পাসওয়ানও আমাদের সঙ্গে থাকবেন ৷’
বিজেপি প্রধানের কথায়, ‘যখন কেউ নতুন করে হাত মেলায় তখন কিছুটা হলেও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তাই প্রত্যেকেরই আসন কিছুটা কমবে ৷’  আর তাঁর এই নীতি বিহারে এনডিএ শরিকদের কাছেও স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
বিজেপির শরিক দলের একজন অবশ্য আজকের এই ঘোষণার পর বিহারে বিরোধী শিবিরের নেতা লালু প্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একপ্রস্থ রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরে ফেলেন ৷ বৈঠকের সেই ছবি ট্যুইটারে পোস্টও করেছেন তেজস্বী ৷ শরিক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহাকেও অবশ্য সেনিয়ে কোনওরকম রাখঢাক করতে দেখা যায়নি। তবে এরপর রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা অস্বীকার করলেও, বিরোধী শিবিরের সঙ্গে তাঁর আজকের বৈঠক এনিয়ে কিছুটা হলেও সে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ নির্বাচনের আগে বিজেপি সঙ্গ ত্যাগের পর সেবার লোকসভা ভোটে বিহারে মাত্র ২ টি আসন পেয়েছিল নীতীশ কুমারের দল ৷ আর রাজ্যে ৪০টি আসনের
মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২২টি ৷

Comments are closed.