দিল্লিতে দিল্লির সিবিআই দফতরের সামনে বিরোধীদের তীব্র বিক্ষোভ, গ্রেফতার হলেন রাহুল গান্ধী

সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে সরানোর বিরোধিতায় উত্তাল হল দেশ। কংগ্রেসের নেতৃত্বে গোটা দেশেই সিবিআই অফিসের সামনে শুক্রবার হল ধরণা কর্মসূচি। দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে ফের একবার দেখা গেল বিরোধী ঐক্যের ছবি। সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর থানায় গিয়ে প্রতীকি গ্রেফতার বরণ করেন রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতারা।
বুধবারই কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল, নজিরবিহীনভাবে সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক ভার্মাকে সরিয়ে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশজুড়ে সিবিআই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই মতো এদিন দেশজুড়ে সিবিআই কার্যালয়গুলির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। দিল্লিতে কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা এদিন সকালে মিছিল করে যান লোধি রোডে সিবিআই দফতরের সামনে। দফতর থেকে ৫০০ মিটার দূরেই তাঁদের ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে ওখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আওয়াজ ওঠে নরেন্দ্র মোদী হায় হায়, রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ।
এদিনও রাফাল ইস্যু তুলে খোদ নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল বলেন, মোদী সরকার দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। কংগ্রেসের দাবি, অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে অলোক ভার্মাকে আবার সিবিআই প্রধানের পদে বসাতে হবে কেন্দ্রকে। কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা ছাড়াও এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদবসহ আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআইয়ের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবারই সিবিআই ও রাফাল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিন রাহুল বলেন, সাংবাদিক হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে তিনি তিনটি প্রশ্ন করতে চান। তাঁর দাবি, তিনটি প্রশ্ন শুনেই পালিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তর দিতে পারবেন না।
অন্যদিকে, এদিন সিবিআই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সদ্য প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মার আবেদনের শুনানিতে এদিন শীর্ষ আদালত বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নজরদারিতে অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনকে (সিভিসি)। জেটলির কথায়, সিবিআই-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেই প্রেক্ষিতে কোর্টের এই রায় খুব ইতিবাচক। এর ফলে সঠিক তথ্য সামনে আসবে। জেটলি এদিন জানান, সরকার কোনওভাবেই সিবিআই-এর কাজে হস্তক্ষেপ করছে না। তাঁরা শুধু চান সংবিধান মেনে, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করুক সিবিআই।

Comments are closed.