যে কোনও ব্যক্তির কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিরোধিতায় মমতা, কংগ্রেস, সিপিএম

যে কোনও ব্যক্তির মোবাইল ফোনের পাশাপাশি এবার কম্পিউটারেও চালানো যাবে নজরদারি, নির্দেশিকা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১০ টি তদন্তকারী সংস্থাকে এবিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন তদন্তের স্বার্থে তারা ইচ্ছে মতো যে কারোর কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য জানতে পারবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গওয়ালা এই নির্দেশিকা জানান। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার আগে শুধুমাত্র ই-মেল ও  মোবাইল কল এর মাধ্যমে তথ্যের আদান-প্রদানের ওপর নজরদারি চালানোর ক্ষমতা ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলির। কিন্তু এখন থেকে শুধু মোবাইল কল বা ই-মেল নয়, কম্পিউটারের যে কোনও তথ্য খতিয়ে দেখার ক্ষমতা দেওয়া হল এই তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা যাবে যে কোনও কম্পিউটার বা যন্ত্র। যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তাঁর বা তাদের কম্পিউটারের তথ্য দেখাতে বাধ্য। অন্যথায় জরিমানা অথবা সাত বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
যে ১০ টি তদন্তকারী সংস্থাকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল আইবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টোরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ),  দিল্লি কমিশনার অব পুলিশ এবং ডিরেক্টোরেট অব সিগনাল ইন্টেলিজেন্স।
কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। কংগ্রেস ও সিপিএম কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জানায়, প্রত্যেক মানুষকে অপরাধীর চোখে দেখতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Comments are closed.