সাবরীমালা মন্দিরে দুই মহিলার প্রবেশ প্রকাশ্য দিবালোকে হিন্দু ধর্মকে ধর্ষণঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে

সাবরীমালা মন্দিরে দুই মহিলার প্রবেশকে দিবালোকে হিন্দু ধর্মকে ধর্ষণ বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে। মন্দিরের প্রাচীন ঐতিহ্য ধ্বংস করার জন্য কেরলের সিপিএম সরকারকেও দুষেছেন অনন্ত কুমার। তিনি বলেন, কেরল সরকার সাবরীমালা ইস্যুতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের কাজ। কিন্তু সরকার মানুষের অনুভূতিকে সম্মান না দিয়ে চরম ভুল করেছে।
অন্যদিকে, বিন্দু ও কণকদুর্গা মন্দিরের ঐতিহ্যকে নষ্ট করে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছেন, এই অভিযোগে বুধবার সারাদিন কেরলজুড়ে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় বিজেপি। বিজেপির কার্যকলাপকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। তাদেরও অভিমত, ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানায়নি পিনারাই বিজয়ন সরকার। তাই মানুষ তো প্রতিবাদ করবেই। দিনভর বিজেপি ও দক্ষিণপন্থী দলগুলির তাণ্ডবে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয় কেরলের বিভিন্ন জায়গায়।
বৃহস্পতিবার সাবরীমালা কর্ম সমিতির ডাকে ১২ ঘন্টা বনধেও ধরা পড়ল হিংসার ছবি। কর্ম সমিতির মিছিল চলাকালীন মিছিলের কয়েকজন কর্মী কোঝিকোড় শহরের এস এম স্ট্রিটের কয়েকটি দোকান জোর করে বন্ধ করে দেয়। কয়েকজন দোকানদার রুখে দাঁড়ালে দোকানের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ডিওয়াইএফআই কর্মী সমর্থকরা। শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ গিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছ।
বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হিংসার ঘটনা ঘটছে। থিরুভনন্থপুরমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ট্রেন থেকে পড়ে যান এক ব্যক্তি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বনধের জেরে সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছনো যায়নি। রাস্তাতেই মারা যান ওই ব্যক্তি। বনধের বিরোধিতা করায় প্রহৃত হয়েছেন সাধারণ মানুষজন। বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। মালাপপুরমে সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় সাবরীমালা কর্ম সমিতির সমর্থকরা।

Comments are closed.