মেদিনীপুরের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

এরা গান্ধীজীকে মানে না, নেতাজিকে সম্মান করে না। শুধু রাম আর হনুমান নিয়ে রাজনীতি করতে জানে। হনুমান-বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করে মানুষকে অসম্মান করে। ধর্মের নাম করে অধর্মের পথে দেশের মানুষকে চালনা করা হচ্ছে। সোমবার কেশিয়াড়ির সভা থেকে ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপির সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ভিন রাজ্য থেকে গুণ্ডা এনে অশান্তির চেষ্টা চলছে এরাজ্যে। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় আসতে চাইছে বিজেপি। আগে যারা সিপিএম করত তারা এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে বলে মমতার অভিযোগ। তাঁর কথায় সাহস থাকা ভালো, দুঃসাহস নয়। সিপিএমের মতো এরাজ্য থেকে বিজেপিকেও মুছে দেবে তৃণমূল, হুঙ্কার তৃণমূল সুপ্রিমোর।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বার্তা দিল্লির লাল চক্ষুর তোয়াক্কা করেন না তিনি। খাদ্যসাথী থেকে শিক্ষাশ্রী, পরিবহণ থেকে স্বাস্থ্য-সব কাজে মানুষের রাজ্যকে লাগে, কেন্দ্র লাগে না। বাঙলা মাথা নত করতে জানে না বলে কেন্দ্রকে তোপ মমতার।
পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর সরকারের আমলে উন্নয়নের খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেন, ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের। পাশাপাশি, দলের নেতাদের উদ্দেশে মমতার সাবধানবাণী, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার জায়গা তাঁর দলে নেই। ব্যক্তিগতভাবে কেউ ‘দোষ’ করলে তার দায় দলের নয়।
নেত্রীর ভুয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এরাজ্যে কৃষকদের আত্মহত্যা করতে হয় না বলে শুভেন্দুর দাবি। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আচ্ছে দিনের’ কথা বলেন না, যোগ-ব্যায়ামের কথা বলেন না। মমতা সুশাসনের কথা বলেন। উন্নয়নের কথা বলেন।

Comments are closed.