২০১৩ সালের তুলনায় এবার রাজস্থানে সিপিএম পেল প্রায় দ্বিগুণ ভোট, কৃষক আন্দোলনের জয় বলে মনে করছেন নেতৃত্ব

গত ২০১৩ বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার রাজস্থানে সিপিএমের ভোট প্রায় দ্বিগুণ হল। যাকে সাম্প্রতিক সময়ে লাগাতার কৃষক আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব বলেই মনে করছেন পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যের নেতারা।
২০১৩ সালে বিধানসভা ভোটে রাজস্থানে ৩ টি আসন জিতেছিল সিপিএম। কিন্তু সিপিএম পেয়েছিল ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ভোট। সেখানে এবার রাজস্থানে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে ভোটের তীব্র মেরুকরণ হওয়া সত্ত্বেও, দল যে ২ টি আসন জিতেছে তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন রাজস্থানের সিপিএম নেতারা। পাশাপাশি ২ টি আসনে সিপিএম দু’নম্বরে রয়েছে। এবার রাজস্থানের ২৮ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সিপিএম পেয়েছে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ২১০ টি ভোট, যা গত বিধানসভার তুলনায় অনেকটাই বেশি।
বিকানের জেলার ডুঙ্গারগড় আসনে সিপিএম প্রার্থী গিরিধারী মাহিয়া পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৬২ ভোট (৪১.৪০%)। তিনি কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়েছেন ২৩ হাজার ৮৯৬ ভোটে। অন্যদিকে, হনুমানগড় জেলার ভাদরা বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বলবান পুনিয়া পেয়েছেন ৮১ হাজার ৬৬৫ ভোট (৪০.২৭%)। তিনি বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন ২৩ হাজার ১৫৩ ভোটে।
শিকার জেলার ঢোড বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী পেমা রাম জোর দার লড়াই করেও কংগ্রেসের কাছে ১৩ হাজার ভোটে হেরে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন প্রায় ৩২ শতাংশ ভোট। গঙ্গানগর জেলার রায়সিংহগড় বিধানসভা কেন্দ্রেও জোরদার লড়ে হেরে দ্বিতীয় হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সোপত রাম। পাশাপাশি, শিকার জেলার দান্তরামগড় বিধানসভায় তৃতীয় হয়েছেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক আমরা রাম।
একদিকে যখন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দাবিতে আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সোচ্চার হয়েছে, সেখানে কয়েক দিন আগেই ‘রাম মন্দির চাই না, ঋণ মকুব চাই’ স্লোগান তুলে দেশের রাজধানী কাঁপিয়ে মিছিল করেছে কৃষক সভা। গত বছর খানেক ধরেই রাজস্থানে কৃষক আন্দোলন বামপন্থীদের নেতৃত্বে এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এই লাগাতার আন্দোলনের জেরেই রাজস্থানে সিপিএমের ভোট এক ধাক্কায় গত বিধানসভার তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মনে করছেন নেতারা। শুধু তাই নয়, ধারাবাহিক এই কৃষক আন্দোলন বিজেপি শিবিরকে জোরালো ধাক্কা দিয়েছে বলে মানছেন কংগ্রেসের জাতীয় নেতারাও।

Comments are closed.