ধর্মনিরপেক্ষ ভোট কেটে বিজেপির সুবিধে করে কারাট ঘনিষ্ঠরা পেয়েছেন ১০০ কোটি, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদের

এক সময় গুজরাতে মোদী মডেলের প্রশংসা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পরে কংগ্রেসে যোগদান করেন যে সিপিএম নেতা, তিনিই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাতের বিরুদ্ধে।
কেরলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ এ পি আবদুল্লাকুট্টি দাবি করেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ ভোটে ভাগাভাগি করে বিজেপিকে সাহায্য করেছেন প্রকাশ কারাট। আর তার জন্য বিজেপির কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা নিয়েছেন প্রকাশ কারাট ঘনিষ্ঠরা। সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এই দাবি করেছেন, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে আবদুল্লাকুট্টির এই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে।
কেরলের কান্নুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার নির্বাচিত এই সাংসদ ২০০৯ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। তারপর যোগ দেন কংগ্রেসে। দলের থাকার সময়ই গুজরাতে নরেন্দ্র মোদী মডেলের প্রকাশ্যে প্রশংসা করার জন্য তাঁকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। তাঁর অভিযোগ, দিল্লির এক কমরেড বন্ধুর কাছ থেকে তিনি জেনেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ ভোটে কাটাকাটি করে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে সুবিধে পাইয়ে দেয় সিপিএম। বিনিময়ে ১০০ কোটি টাকা নেন কারাটের কাছের লোকজন। এই ‘কেনাবেচা’ না হলে কংগ্রেস ওই ধর্মনিরপেক্ষ ভোট পেত বলে দাবি করেছেন এ পি আব্দুল্লাকুট্টি। তাঁর অভিযোগ, ৪ লক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ ভোট বিজেপিকে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
আবদুল্লাকুট্টির দাবি, রাজস্থানের পিলবাঙ্গা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ধর্মেন্দ্র কুমার কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বীকে মাত্র ২৭৮ ভোটে হারিয়েছেন। যেখানে সিপিএমের ভোট ছিল ২ হাজার ৬৫৯ টি। এটা শুধুমাত্র একটা উদাহরণ। এছাড়াও, রাজস্থানের বেশ কিছু কেন্দ্রে যেখানে বিজেপি হারার জায়গায় ছিল, সেখানে এই খেলা খেলেছে সিপিএম।
যদিও তাঁর অভিযোগ কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এক সময়ের সিপিএম সাংসদ মোদী প্রশস্তি করে দলের বিরাগভাজন হয়ে যেভাবে পরে কংগ্রেসে যোগ দেন, তাতেই তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সেই কারণেই তাঁর এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারাট বা বিজেপির পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

Comments are closed.