অযোধ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, প্রজ্ঞা সিংহের বিরুদ্ধে এফআইআর, ৭২ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা সিধুর প্রচারেও

ভোপাল থেকে বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে এফআইআর করল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি তিন দিনের জন্য নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হল কংগ্রেস নেতা সিধুর বিরুদ্ধে।

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের হল সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মুসলিম ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে, পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর প্রচারে ৩ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।
শনিবার একটি টিভি সাক্ষাৎকারে প্রজ্ঞা ঠাকুর সিংহ মন্তব্য করেন, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অংশ নিতে পেরে তিনি গর্বিত। তিনি জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিলেন।
তাঁর এই মন্তব্যে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে, এই অভিযোগে ভোপালের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সুদাম খাড়ে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। এরপর সোমবার রাতেই ভোপালের কমলা নগর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্য প্রদেশের ডিআইজি এরশাদ ওয়ালি। সাধ্বী প্রজ্ঞার ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে যে নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন, তার উত্তরে বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, কোনও জাতি বা ধর্মকে অপমান করার ইচ্ছে ছিল না তাঁর। তিনি তাঁর অনভূতি প্রবেশ করেছেন মাত্র। প্রজ্ঞা ঠাকুর এখানেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার আবেদন করেছিলেন কমিশনের কাছে। কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সুদাম খাড়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকারে প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের ওই মন্তব্য স্পষ্টতই নির্বাচনী বিধিভঙ্গ।
তবে হেমন্ত কারকারেকে নিয়ে প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র জে পি ধনোপিয়ার দাবি, এটিএসের প্রাক্তন প্রধান হেমন্ত কারকারের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের হওয়া উচিত।

অন্যদিকে, বিহারের কাটিহারে নির্বাচনী জনসভায় পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিংহ সিধু দাবি করেন, এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসির মতো নেতারা বিভাজনের রাজনীতি করে ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সব মুসলিম একজোট হয়ে ভোট দিলে, নরেন্দ্র মোদীর সরকার পাল্টে যাবে বলে জনসভায় মন্তব্য করেন সিধু। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ২৩ শে এপ্রিল থেকে ৭২ ঘন্টার জন্য সিধুর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।

Comments are closed.