গুগল কর্তৃপক্ষকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তোপ, হোয়াইট হাউসে সুন্দর পিচাই

গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন গুগলকে তোপ দেগে বলেছিলেন, নিজেদের পরিষেবা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিপক্ষ মতকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে গুগল। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেণ্ট একথা বলার পর স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেন সুন্দর পিচাই। ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি ইস্যুতে এর মধ্যেই আলোচনা চলছে মার্কিন কংগ্রেস, ট্রাম্প প্রশাসন ও গুগল কর্তাদের মধ্যে। আগামী বছর এই নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট পথ পাওয়া যেতে পারে। গুগল কর্তৃপক্ষকে খোদ মার্কিন রাষ্ট্রপতির তোপ এবং সংস্থার সিইও পিচাইয়ের হোয়াইট হাউস যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে পক্ষপাতিত্ব বা বিপক্ষ মত চাপা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে গুগলের তরফে। জানা গেছে, খুব শীঘ্রই তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্র বসতে চলেছে ওয়াশিংটনে। সেখানে বিশ্বের তাবড় তথ্য প্রযুক্তি কর্তারা অংশ নেবেন। সেই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্পের সাথে গুগল কর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা। তবে ইতিমধ্যেই গুগলকে নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের অন্দরে যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে মার্কিন সেনেটের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সুন্দর পিচাই।
গুগল কর্তৃপক্ষের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিরোধ নতুন নয়। তথ্য ধামাচাপা বা বিপক্ষ মত সামনে আসতে না দেওয়ার এই অভিযোগের আগেও একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে গুগল কর্তাদের তোপ দেগেছিল মার্কিন প্রশাসন। সম্প্রতি সামনে আসা সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই, গুগলের অন্দরে অন্য দেশের কর্মীদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তার সাথে সহমত পোষণ করে সংস্থার কর্মীদের সহানুভুতি, সান্তনা জানাচ্ছেন গুগল কর্তারা। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই ট্রাম্প প্রশাসনের ওই গুগল কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি করেন ট্রাম্পপন্থীরা। তাঁদের দাবি, ট্রাম্প জিতুক এটা গুগল কর্তারা যে চাননি, এটা তারই প্রমাণ।

Comments are closed.