গত সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বার্ষিক সভার চলাকালীন আলাদাভাবে ভারত-পাক দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসুন, চেয়েছিল পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার। কিন্তু সন্ত্রাসবাদী হামলার জেরে ভারতের তরফে আগে সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানিয়ে এই বৈঠক নিয়ে কোনও উৎসাহ না দেখানোয় ভেস্তে যায় পাকিস্তানের প্রস্তাবিত বিদেশমন্ত্রী স্তরের সেই বৈঠক। সম্প্রতি সেই বিষয়টি নিয়ে একটি ট্যুইট করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে তিনি লেখেন, ভারতের অহঙ্কারী ও নেতিবাচক পদক্ষেপের ফলে ওই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় তিনি অখুশি। আরও লেখেন, ‘সারা জীবনে দেখে এসেছি যাদের ভবিষ্যতে বড় কিছু দেখার বা ভাবার লক্ষ্য নেই, সেই সব সাধারণ লোকরাই বড় পদে বসে।’
এরপরই জল্পনা ছড়ায়, ইমরানের এই ট্যুইটের লক্ষ্য কি মোদী। কিন্তু বিতর্কের মাঝে পড়ে বুধবার ইমরান খান জানিয়েছেন, তাঁর ওই ট্যুইট মোদীকে লক্ষ্য করে নয়। যদিও কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর ওই লেখা, তা স্পষ্ট করেননি ইমরান। বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা চলছে, কোনও বিতর্কের মাঝে পড়ে তা বাধাপ্রাপ্ত হওয়া উচিত না।
তবে বুধবার পাকিস্তানের করতারপুর সাহিব করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে গিয়ে ইমরান ফের বলেছেন, ফ্রান্স ও জার্মানি যদি পরস্পরের বিরুদ্ধে এত যুদ্ধ সত্ত্বেও এক সঙ্গে থাকতে পারে তাহলে আমরা নয় কেন? দোষারোপ না করে উচিত সমাধানের পথ খোঁজা। উল্লেখ্য, আগামী সার্ক বৈঠকে পাকিস্তানের তরফে ভারতকে আমন্ত্রণের যে কথা পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, তা বুধবারই খারিজ করে দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, করতারপুর করিডরের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে কথোপকথন শুরু হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়।
Comments are closed.