এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে পলিটব্যুরো সদস্য এবং কেরল রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণণের মন্তব্যে বিড়ম্বনায় সিপিএম

সীমান্ত টপকে জৈশ শিবির ধ্বংস করে ফিরে আসা ভারতীয় বায়ুসেনার পরাক্রমে যখন উদ্বেল সারা দেশ, সমস্ত রাজনৈতিক দল যখন একযোগে অভিনন্দন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সেনা বাহিনীর, তখনই বেফাঁস মন্তব্য করে সিপিএমের বিড়ম্বনা বাড়ালেন পলিটব্যুরো সদস্য এবং কেরলের রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণণ।
মঙ্গলবার সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর কেরলের ইদুক্কিতে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বালাকৃষ্ণণের মন্তব্য, লোকসভা ভোটে হারার ভয়ে যুদ্ধ লাগিয়ে মেরুকরণের ফায়দা ভোটবাক্সে তুলতে চাইছে বিজেপি সরকার।
এখানেই থামেননি কেরল সিপিএমের সম্পাদক বালাকৃষ্ণণ। এয়ার স্ট্রাইককে পুরোদস্তুর রাজনীতির মোড়কে মুড়ে তিনি বলেন, কাশ্মীরে মূল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে, বিজেপি সরকার কাশ্মীরিদের শত্রু বানিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
যদিও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মঙ্গলবার ভারতের এয়ার স্ট্রাইককে স্বাগত জানিয়েছেন। এই সময় সব রকমভাবে সেনা বাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির তরফেও। কিন্তু এই প্রেক্ষিতেই দলের সিনিয়র নেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্যের এমন মন্তব্যে স্বভাবতই বিড়ম্বনায় পড়েছে সিপিএম।
রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে অখিলেশ-মায়াবতী, মঙ্গলবার ভোররাতের রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর রাজনীতি সরিয়ে রেখে সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রের পাশেই দাঁড়িয়েছিল সবকটি রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবারের বিমান হানাকে ‘কার্যকরী অভিযান’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন ইয়েচুরিও। স্বভাবতই এমন সময় দলের সিনিয়র নেতার এই মন্তব্যে জাতীয় ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা বাড়ল বলেই মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ।

Comments are closed.