মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে এক হয়েছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একা বিজেপি নয়, নরেন্দ্র মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী করতে এবার হাত মিলিয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম। পূর্ব বর্ধমানের জনসভা থেকে তিন দলকেই একযোগে তোপ মমতার। পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে বললেন, ভোটের স্বার্থে নতুন ধর্মের আমদানি করেছে, সেই পচা শামুকে যেন পা না কাটে। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী, দেওয়ানদিঘি ও রায়নায় তিনটি নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। প্রতিটি জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণ, সাম্প্রদায়িক হিংসা, এনআরসি, নোটবন্দি ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর অভিযোগ, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে নতুন ধর্মের আমদানি করেছে বিজেপি। মমতার কথায়, অস্ত্র হাতে, মাথায় ফেট্টি বেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে বিজেপির গুণ্ডারা। যে অস্ত্র মা দুর্গার হাতে শোভা পায়, তা সাধারণ মানুষের হাতে শোভা পায় না, বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। দেওয়ানদিঘির সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, বিজেপির এই নতুন ধর্ম ‘পচা শামুকের’ মতো, কারও যেন এতে পা না কাটে। পাশাপাশি, বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়াকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী, তাঁর অভিযোগ, পাহাড় ভাগের চেষ্টা করেছিলেন আলুওয়ালিয়া। দার্জিলিংয়ের মতো বর্ধমানেও তিনি সেই চেষ্টাই করছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে পূর্বস্থলীর জনসভা থেকে মমতার বার্তা, ওরা মুড়ি দিলে মুড়ি খাবেন, তারপর বাটি উল্টে দেবেন। কিন্তু টাকা নিয়ে একটি ভোটও দেবেন না বিজেপিকে, মন্তব্য মমতার। এদিনের সভা থেকেও বিজেপি কংগ্রেস ও সিপিএমকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর কথায়, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। সোমবার তিন জনসভা থেকেই তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, আগামীদিনে দিল্লি দখল করবে বাংলাই।

Comments are closed.