সাহসী না হলে তৃণমূল করতে হবে না, পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, পুলিশকেও স্ট্রং হওয়ার নির্দেশ

মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বেলগুমায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দল ও প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ককে এলাকা উন্নয়নের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়ক আমতা আমতা করছেন দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, আপনি স্ট্রং না, সাহসী হোন। সাহসী না হলে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে না। পাশাপাশি, এদিন রঘুনাথপুরের ওসিকেও ধমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকায় নয়া শিল্প প্রকল্পগুলিতে তোলাবাজির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে তিনি ওসিকে প্রশ্ন করেন, কেন এরকম হচ্ছে? এলাকায় ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা চলছে ও বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান। রঘুনাথপুরের ওসিকেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি ওসি, কিন্তু দেখে স্ট্রং মনে হচ্ছে না। পুলিশকে স্ট্রং হতে হয়।
এর পাশাপাশি এদিন, পুরুলিয়ার গ্রামীণ সড়ক প্রকল্প, কিষাণ মাণ্ডি নির্মাণের শ্লথ গতি ও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা শাসক ও প্রশাসনকে দ্রুত বকেয়া কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, অর্ধসমাপ্ত কাজ, অসমাপ্ত কাজ বরদাস্ত নয়। পুরুলিয়াকে খড়াপ্রবণ এলাকা বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, জেলা প্রশাসনকে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে। আদিবাসীদের জমির অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আদিবাসীদের বেশি করে ১০০ দিনের প্রকল্পে যুক্ত করার জন্য। প্রয়োজনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সাহায্য নেওয়ার। সার্বিকভাবে জেলার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তিনি যে খুশি তা এদিন মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এদিন পুরুলিয়ার ছড়রা বিমানবন্দরের কাজ দ্রুত শেষ করার ও জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করতে আদিবাসীদের বোঝানো ও ইমামদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ জেলা প্রশাসনকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিশু অপুষ্টি, এলাকা উন্নয়ন, আমার বাড়ি প্রকল্পে গরিবদের সাহায্য, বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এদিন তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

Comments are closed.