রাজনীতিকে দুষ্কৃতীমুক্ত রাখতে পদক্ষেপ নিক সংসদ, বলল সুপ্রিম কোর্ট

রাজনীতিতে দুষ্কৃতীদের প্রভাব বাড়লে তা দেশের পক্ষে, জাতীয় স্বার্থের পক্ষে মারাত্মক বিষয় হবে। তাই রাজনীতির দুষ্কৃতীকরণ সংসদীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী চেহারা নেওয়ার আগে তা রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সংসদের। প্রয়োজনে দুষ্কৃতীদের রাজনীতিতে আসা আটকাতে কড়া আইন আনুক সংসদ। মঙ্গলবার এক মামলার রায়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত আইন সভার সদস্যদের কি নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়া যাবে, না নাকি এক মাত্র দোষী সাব্যস্ত হলেই তাঁরা ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না, এই সংক্রান্ত একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন এই মত জানিয়েছে দেশের প্রধানবিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অভিযুক্তরা ভোটে লড়তে পারবেন না, এরকম কোনও নির্দেশ তাঁরা দিতে পারছেন না। এর জন্য সংসদকে নির্দিষ্ট আইন আনতে হবে। তবে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়েছে, এর পর থেকে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের বড় বড় হরফে লিখে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে যে, তাঁদের বিরদ্ধে কী ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদেরও প্রকাশ্যে জানাতে হবে, কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। প্রার্থী পিছু অভিযোগের তালিকা প্রত্যেক দলকে তাদের ওয়েবসাইটে করতে হবে। যাতে ভোটাররা ভোট দিতে যাওয়ার আগে তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিকে দুষ্কৃতীমুক্ত করতে একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠনের তরফে আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। আবেদনগুলির মূল বক্তব্য ছিল, রাজনীতিকে দূর্বৃত্তায়ণ ও দুষ্কৃতিদের প্রভাব মুক্ত রাখতে শুধুমাত্র দোষী প্রমাণিত হলেই নয়, কারও বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি অভিযোগ থাকলেও তাঁকে আর ভোটে লড়তে দেওয়া যাবে না, এই মর্মে নির্দেশ জারি করুক শীর্ষ আদালত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন নিজেদের মত জানাল শীর্ষ আদালত।

Comments are closed.