এবার সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন আরও এক বিচারপতি

সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর পদে নাগেশ্বর রাও-এর নিয়োগ মামলা থেকে এবার নিজেকে সরিয়ে নিলেন আরও এক বিচারপতি। এর আগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কমন কজ’-এর দায়ের করা এই মামলা থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি এ কে সিক্রি নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবার সরে গেলেন বিচারপতি এন ভি রামানা।
কেন তিনিও সরে গেলেন বিচারপতির পদ থেকে? বিচারপতি এন ভি রামানা জানিয়েছেন, নাগেশ্বর রাও তাঁর পূর্ব পরিচিত। তাঁরা একই রাজ্যের বাসিন্দা। এমনকী, সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টরের মেয়ের বিয়েতেও তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। তাই এই মামলায় তিনি থাকতে পারবেন না।
এই নিয়ে তৃতীয়বার বিচারপতি সরে যাওয়ায় নাগেশ্বর রাও -এর বিরুদ্ধে মামলার শুনানি আবারও পিছিয়ে গেল।
বিচারপতি এন ভি রামানার এই সিদ্ধান্তের পর, মামলায় আবেদনকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী দুশমন্ত দাভে বিচারপতির কাছে আবেদন করেন, প্রধান বিচারপতিরকে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মামলার দ্রুত শুনানি হোক। আইনজীবী দুশমন্ত দাভের এই আবেদনও নস্যাৎ করে বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, তিনি কীভাবে প্রধান বিচারপতিকে এনিয়ে আবেদন করতে পারেন। এটা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে।
এর আগে, নাগেশ্বর রাওকে অন্তর্বতীকালীন সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। যেহেতু পরবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে তিনি রয়েছেন, তাই নিরপেক্ষতার স্বার্থেই ওই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। এরপর, বিচারপতি এ কে সিক্রিও ওই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিচারপতি সিক্রি জানান, তিনি গত ১০ ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী পরিচালিত তিন সদস্যের কমিটিতে ছিলেন। ওই মিটিংয়েই অলোক ভার্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর থেকে অপসারণ করে নাগেশ্বর রাওকে বসানো হয় অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর পদে। তাই তিনিও নিরপেক্ষতার স্বার্থে বিচারপতির আসন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। নাটকীয়ভাবে মামলা থেকে তৃতীয় বিচারপতিও সরে যাওয়ায় দৃশ্যতই হতাশ মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিচারপতি সিক্রি এই কেস থেকে সরে যাওয়ায়, আইনজীবীর দাভে মন্তব্য করেছিলেন, মনে হচ্ছে আদালত এই কেস শুনতে চাইছে না।

Comments are closed.