সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওকে অপসারণের মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট

সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওকে অপসারণের জন্য দায়ের হওয়া মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে।
সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে নাগেশ্বর রাওকে সরাতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ‘কমন কজ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই সংস্থার হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। নাগেশ্বর রাওকে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সিবিআই অধিকর্তার পদে বসানো হয়েছে বলে ওই সংস্থার দাবি। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ অক্টোবর মাঝরাতে আচমকাই ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তৎকালীন সিবিআই অধিকর্তা অলোক ভার্মাকে। তাঁর জায়গায় সংস্থার দায়িত্বভার নেন এম নাগেশ্বর রাও। তিনি ১৯৮৬ সালের ওড়িশা ক্যাডারের আইপিএস। এই নিয়োগের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কমন কজ’।
সিবিআই অধিকর্তার দায়িত্ব নিয়েই একাধিক আধিকারিককে বদলি করেন নাগেশ্বর রাও। অলোক ভার্মার নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তও বদলে ফেলেন তিনি।
এরপর নাটকীয়ভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পদ ফিরে পেয়েছিলেন অলোক ভার্মা। যদিও প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি ও প্রধান বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি আবার অলোক ভার্মাকে ছেঁটে ফেলে অধিকর্তার পদ থেকে। ফের নাগেশ্বর রাওকেই সিবিআই অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তার ভার দেওয়া হয়। অন্যদিকে, অলোক ভার্মাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় দমকলের অধিকর্তার। কিন্তু সেই পদ গ্রহণ করতে অসম্মতি জানিয়ে পদত্যাগ করেন অলোক ভার্মা।

Comments are closed.