রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে চিট ফান্ড তদন্তে তথ্য ‘বিকৃতি’র অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই

কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই।
রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে, সিবিআই দাবি করেছিল সারদা-রোজ ভ্যালির তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে সেই ‘বিকৃত’ তথ্য সিবিআই-এর হাতে আসে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, এমন গুরুতর অভিযোগ জানাতে সিবিআই এত দেরি করল কেন?
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ২০১৮ সালের জুন মাসে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ এনেছে সিবিআই। তা যদি হয়ে থাকে, তবে সিবিআই এতদিন কী করছিল? কেউ কি সিবিআইকে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধা দিয়েছিল? প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৮ সালের জুন মাসের এই ঘটনা, তখনই কেন বিষয়টি আদালতকে জানায়নি সিবিআই?
সিবিআইয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা অবশ্য আদালতে দাবি করেন, গত বছরের জুন মাসে ‘কল রেকর্ডস’ পেলেও তা খতিয়ে দেখতে আড়াই মাস সময় লেগেছিল সিবিআইয়ের। এরপরেই, প্রধান বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, কেন এই তথ্য প্রথম হলফনামাতেই দেওয়া হয়নি।
সিবিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী এদিন কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়ির সামনে সিবিআই অফিসারেদের হেনস্থা ও মেট্রো চ্যানেলের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনায় পুলিশ অফিসারদের উপস্থিতির অভিযোগও তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজীব কুমারের আদালত অবমাননা কি শুধুমাত্র ৩ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় সীমাবদ্ধ?
এরপরেই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, কেবল মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেবে না আদালত। সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর ঋষি কুমার শুক্লাকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই হলফনামা দেওয়ার পরে, রাজ্যকেও জবাব দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হবে। আগামী ২৬ শে মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

Comments are closed.