ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ে বিশ্বে এক নম্বরে ৭ বছরের রায়ান, ২০১৮ সালে আয় ১৭৬ কোটি টাকা

ইউটিউবে নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করে অনেকেই কোটি টাকা আয় করে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু এবার ইউটিউব থেকে সব থেকে বেশি আয় করা তারকাদের তালিকায় নিজের নাম তুলে ফেলল মাত্র ৭ বছরের এক শিশু, নাম রায়ান। ইতিমধ্যে তার আয়ের পরিমাণ ১৭৬ কোটি টাকা।
বছর তিনেক আগের কথা। মাত্র ৫ বছরের ছোট্ট ছেলে রায়ানকে তার বাবা-মা একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে দেন। চ্যানেলটির নাম ‘রায়ান টয়’স রিভিউ’। রায়ানের বাবা-মায়ের উদ্দেশ্য ছিল, রায়ান তার খেলনাগুলো দিয়ে কীভাবে খেলা করে তা তার বন্ধুদের দেখানো। কিন্তু তাঁরা তখন ভাবতেও পারেননি, তাঁদের ছেলে এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে। একেবারে খেলাচ্ছলেই সাত বছরের এই শিশু ইউটিউব থেকে আয় করে নিয়েছে ১৭৬ কোটি টাকা। বছর শেষে রায়ান এই বিপুল টাকা রোজগার করে দুনিয়ার এক নম্বর ইউটিউব তারকা বনে গিয়েছে। সূত্রের খবর আনুযায়ী, তার খেলনার ভিডিওগুলো এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ কোটি বার দেখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই চ্যানেলের ১ কোটি ৭৩ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। জুন মাস নাগাদ রায়ানের ইউটিউব চ্যানেল ‘রায়ান টয়’স রিভিউ’ ইউটিউবের সেরা তারকা জ্যাক পলকে টপকে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।
এমনকী ভিডিও শুরুর আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তা থেকে ২১ মিলিয়ন ডলার (১৬৬ কোটি টাকা) আয় করেছে রায়ান। এ ছাড়া এই ভিডিওতে যেসব খেলনার কথা তুলে ধরা হয়, সেসব খেলনা খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায় বলেও জানা গিয়েছে। আমেরিকার একটি জনপ্রিয় বাণিজ্যিক পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ওয়ালমার্ট গত অগাস্ট মাস থেকে ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’ নামে খেলনা আর পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করে। ওয়ালমার্ট থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের আয়ে যোগ হবে বলে জানাচ্ছে আমেরিকার ওই বাণিজ্যিক পত্রিকা। রায়ান ৭ বছরের শিশু হওয়ার কারণে রায়ানের মোট আয়ের ১৫ শতাংশ একটি ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা সে নিজে তুলতে পারবে।
রায়ানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শিশুরা কেন তার ভিডিওগুলো দেখতে পছন্দ করে? রায়ানের উত্তর, কারণ আমি মজা করতে পারি। রায়ানের বাবা-মা মাত্র কয়েকবারই তাঁদের ছেলের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে রায়ানের মা দাবি করেছেন, যখন তাঁর ছেলের বয়স মাত্র ৩ বছর, তখন এই ইউটিউব চ্যানেল করার আইডিয়া রায়ানই দিয়েছিল। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রায়ান এবং তাঁর বাবা-মা নিজেদের খেলনা খুঁজছে, যে ভিডিওটি ইউটিউবে গত তিন মাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি বার দেখা হয়েছে।

Comments are closed.