তৃণমূল বিরোধী অধীরকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হল সোমেন মিত্রকে

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারিত অধীর চৌধুরী। অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে শুক্রবার সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করল হাইকমান্ড। তীব্র তৃণমূল বিরোধী অধীরকে সরিয়ে এটা কি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও বার্তা, সেই প্রশ্নই উঠে গেল রাজ্য রাজনীতিতে।
সম্প্রতি একাধিকবার দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের রোড ম্যাপ নিয়ে সোনিয়া গান্ধী কিংবা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতী যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে কংগ্রেসের কোনও আপত্তি নেই বলেও বার্তা দিয়েছে হাইকমান্ড। এই পরিস্থিতিতে অধীর চৌধুরী রাজ্যে যেভাবে তৃণমূল বিরোধিতায় কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন, তাতে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এমনকী বারবার তিনি বলেছেন, তৃণমূল দিল্লিতে কংগ্রেসকে সাহায্য করবে আর কংগ্রেস এখানে তৃণমূলের বিরোধিতা করবে এটা চলতে পারে না। সেই কারণেই মমতা বিরোধী বলে পরিচিত অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে কংগ্রেস সভাপতি করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দীর্ঘদিনের নেতা সোমেন মিত্রকে কেন এই মুহূর্তে লোকসভা ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হল তা নিয়েও নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে সোমেন মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা আসনে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শামিল হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্রও তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন অনেকদিন। সোমেন মিত্র ২০১৪ সালে কংগ্রেসে ফিরে যান। এত বছর প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে সরেছিলেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই কংগ্রেস নেতা।

Comments are closed.