ভোটের সময় চালু প্রকল্পগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়ার আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ রাজ্য

রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলোকে চালু রাখার অনুমতি দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুপশ্রী, কৃষকবন্ধু, সমব্যথী বা মানবিক-এর মতো প্রকল্পগুলির সুবিধা যাতে ভোটের সময়ও রাজ্যের মানুষ পান তার জন্য আবেদন করেছে রাজ্য সরকার।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, জনস্বার্থের এই প্রকল্পগুলি আটকে গেলে সাধারণ মানুষ খুব অসুবিধার মধ্যে পড়বেন। নির্বাচনের জন্য সব কাজ বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মানুষ। তাই প্রকল্পগুলি চালু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এই প্রকল্পগুলি চালু রাখার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব মলয় দে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের এই প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে কী অবস্থান নেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
নিম্নবিত্ত পরিবারের কারও মৃত্যু হলে, তাঁর শেষকৃত্যের জন্য নিকট আত্মীয়কে ২০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য‌ করা হয় ‘সমব্যথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মাসিক পেনশন প্রকল্প ‘মানবিক’। বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকার কম আয়ের পরিবারের ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের কন্যাসন্তানদের বিয়ের সময় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সরকারি প্রকল্প হল ‘রূপশ্রী’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিয়ের সময় কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা পাঠায় রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চালু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’লক্ষ কন্যা এবং অভিভাবকরা উপকৃত হয়েছেন। আগামী বৈশাখ মাস বিয়ের মরসুম। তাই এই প্রকল্পের সুবিধা চেয়ে হাজার হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে সরকারি অফিসে। কিন্তু নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার কারণে থমকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। এছাড়া চাষের কাজে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রকল্পটি হল কৃষকবন্ধু। নির্বাচনী বিধির জেরে এই প্রকল্পগুলির কাজ যাতে আটকে না পড়ে, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

Comments are closed.