নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরা, গুলিবিদ্ধ অন্তত ১৫, আহতদের দেখতে হাসপাতালে মানিক সরকার, রাজ্যে বন্ধ ইন্টারনেট

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের (এনইএসও) ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল ত্রিপুরা। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জিরানিয়ায় এদিন বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি’র ছাত্র সংগঠন, আইএনপিটিসহ কিছু ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং গুলি বিনিময় হয়। এতে অন্তত ১৫ জন ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মিলেছে। এই ঘটনার জেরে গোটা ত্রিপুরা রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত থমথমে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে ৪৮ ঘন্টার জন্য মোবাইল এসএমএস এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকাল থেকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে বনধের আহ্বান করে এনইএসও। এই দাবিকে সমর্থন জানায় আইএনপিটি ও আইপিএফটির ছাত্র সংগঠন। ধর্মঘট সমর্থকরা এদিন সকাল থেকেই জিরানিয়া মাধববাড়ি এলাকায় পিকেটিং করে। করা হয় পথ অবরোধ। দু’দিকে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সাময়িক সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। একটা সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আন্দোলনকারীদের পিছু ধাওয়া করে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটা সময়ে চালানো হয় গুলিও। তাতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা যায়। তাদের প্রথমে খুমুলুঙ হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে জি বি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীরও বেশ কয়েজন আহত হন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন চিত্র সাংবাদিকও। বেশ কয়েকজনের পায়ে এবং একজনের পিঠে গুলি লেগেছে বলে জানা যায়। এদিন বিকেলে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, সিপিএম নেতা গৌতম দাশ। ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালনার নিন্দা করেছে ত্রিপুরা সিপিএম।

Comments are closed.