ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রদের অভিনব উদ্ভাবন

পরিবেশ বান্ধব অপ্রচলিত বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সেই চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ছাত্ররা বানিয়ে ফেলেছেন স্থির জলে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। কলেজের চেয়ারম্যান শশাঙ্ক দত্ত, অধ্যক্ষ ডঃ কৃষ্ণেন্দু অধুর্য্য খুব সম্প্রতি দিল্লিতে নীতি আয়োগের দফতরে তাদেঁর প্রকল্পের যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদার কথা ভেবে এবং জল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে এই ধরনের স্থির জলে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করেন বাঁকুড়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপকরা। এই প্রকল্পের জন্য জমিরও প্রয়োজন নেই। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলে অভাব নেই জলাশয়েরও। একটি ছোট জলাশয়েতেই এই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এক মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুতের জন্য এক হেক্টর জায়গার প্রয়োজন হবে। তবে স্থির জলের এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাণিজ্যিকভাবে রূপায়ন করা সম্ভব হলে রাজ্যজুড়ে ক্রমাবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা খানিকটা মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন কলেজের চেয়্যারম্যান ডঃ শশাঙ্ক দত্ত। ইতিমধ্যেই কলেজ ক্যাম্পাসের নিজস্ব জলাশয়ে সফলভাবে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফল ছাত্র-শিক্ষকরা। রাজ্য সরকারকেও পুরো বিষয়টি জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান শশাঙ্ক দত্ত thebengalstory.com কে জানান, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই তাঁরা বৃহদাকারে স্থির জলে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করতে চান। তাঁদের জেলাতেই রয়েছে মুকুটমনিপুরের মত জলাধার। এছাড়া দুর্গাপুর জলাধার থেকেও কয়েক কিলো মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। একই সঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.