সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বিন্দু ও কনকদুর্গা ফের আয়াপ্পা দেবের দর্শন করবেন বলে জানালেন সুপ্রিম কোর্টে।
হুমকির মুখেও তাঁরা যে নুইয়ে পড়েননি তারই প্রমাণ মিলল বুধবার। বিন্দু ও কনকদুর্গা সুপ্রিম কোর্টে জানান, আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারি সাবরীমালা মন্দির খুললে আবার আয়াপ্পা দেবের দর্শন করবেন তাঁরা।
২ রা জানুয়ারি সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের পর বিন্দু ও কনকদুর্গার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। বিজেপি ও অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির হুমকির মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে কোচির এক জায়গায় গা ঢাকা দেন তাঁরা। তাও নিস্তার মেলেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ২৪ ঘন্টা কেরল পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যে থেকেও পেয়েছেন খুনের হুমকি। এসবও তাঁদের মনোবলে যে চিড় ধরাতে পারেনি তা বোঝা গেল সুপ্রিম কোর্টে।
Related Posts
বিন্দু আদালতে জানান, দেশের সংবিধান তাঁকে তাঁর পছন্দমতো ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। তাই আবার আয়াপ্পা দেবের দর্শন করতে গেলে কোনও বিরুদ্ধ শক্তিই তাঁকে আটকাতে পারবে না। পাশাপাশি, তাঁর সঙ্গী কনকদুর্গা সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য শ্বশুরবাড়িতে যেভাবে আক্রান্ত, অপমানিত হয়েছেন, তা অসম্মানজনক ও ভারতীয় সংবিধান বিরোধী বলে অভিযোগ করেন বিন্দু।
বিন্দু ও কনকদুর্গার পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ সুপ্রিম কোর্টে জানান, শুধুমাত্র সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের জন্য বিন্দু ও কনকদুর্গা সামাজিক বয়কটের মুখোমুখি হচ্ছেন। দোকানদার পর্যন্ত তাঁদের জিনিস বিক্রি করতে চাইছেন না। তাঁরা তো খুনের হুমকি পেয়েইছেন, বিন্দুর মাকেও খুনির হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ।
২ রা জানুয়ারি তাঁদের আয়াপ্পা দর্শনের পর সাবরীমালার প্রধান পুরোহিত (তান্ত্রি) আরাদ্ধ দেবতাকে ‘শুদ্ধ’ করতে মন্দিরের দরজা আটকে দেন। তান্ত্রির এই ব্যবহার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা করেছে এই অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন বিন্দু ও কনকদুর্গা। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ সুপ্রিম কোর্টে জানান, ঋতুমতী মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করায় মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে এই ভাবনাই সংবিধান বিরোধী।
Comments are closed.