বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি চাঁদনি চকে, বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

বিজেপির যুব মোর্চার পুরসভা অভিযানকে ঘিরে বুধবার দুপুরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটল চাঁদনি চকের অফিস পাড়ায়। পুলিশের স্টিলের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে যুব মোর্চার সমর্থকরা। পুলিশের দিকে ইট, জলের বোতল ছোঁড়া হয়। পুলিশ পাল্টা লাঠি চালায়। জলকামান চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন বলে দাবি করা হয়েছে। যুব মোর্চার অভিযানে রিমঝিম মিত্রের মতো টলিউডের অনেক তারকাও উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শহরে ডেঙ্গি রোধে পুরসভার ‘ব্যর্থতার’ প্রতিবাদে যুব মোর্চা কলকাতা পুরসভা অভিযানে ডাক দিয়েছিল। এটা তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। বিজেপির সদর দফতর থেকে যুব মোর্চার সমর্থকরা মিছিল শুরু করেন। তাতে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সম্পাদক রাজু ব্যানার্জি সহ অনেকেই। মিছিল আটকানোর জন্য পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়। চাঁদনি চকের কাছে দক্ষিণমুখী সব রাস্তা স্টিলের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু যুব মোর্চার সমর্থকরা ধাক্কাধাক্কি করে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর উপর দাঁড় করানো ব্যারিকেডের অনেকটা অংশ ভেঙে ফেলে। পুলিশের দিকে ধেয়ে আসে জলের বোতল, ইট। প্রস্তুত ছিল চারটি জলকামানের ইঞ্জিন। ব্যারিকেড ভাঙা মাত্রই পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে। চলে জলকামানও। বিজেপির যুব সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। কয়েকজনের ঘাড়ে এসে পরে পুলিশের লাঠি। অনেককে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। প্রথম দফায় পিছু হঠার পর ফের বিজেপির যুব সমর্থকরা পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ আবারও লাঠি চালায়।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠি ও জলকামান চালিয়েছে। বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জি বলেন, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গিতে মানুষ মারা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার ডেঙ্গির তথ্য চেপে দিচ্ছে। কলকাতার অবস্থা আরও ভয়াবহ। কেন্দ্রীয় সরকার ‘আম্রুত প্রকল্পে’ কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে  শহর পরিচ্ছন্ন  রাখার কাজে। আর সে টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা এই অভিযানের ডাক দিই। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় তাণ্ডব চালাল।

Comments are closed.