প্রথম দফার মতোই দ্বিতীয় দফাতেও ফের ধাক্কার মুখে বিজেপি, ৯৫ টির মধ্যে ইউপিএ পেতে পারে ৫৯ আসন, এনডি ২১: NewsClick.in
১১ ই এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের পর সি-ভোটারের সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য চিন্তায় ফেলেছিল মোদী-অমিত শাহকে। এবার দ্বিতীয় দফার ভোট পরবর্তী বিশ্লেষণেও যে তথ্য উঠে এল, তাতে আরও চিন্তা বাড়ল বিজেপি শিবিরের।
১৮ ই এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দেশের যে ৯৫ টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে সেই আসনগুলিতে ২০১৪ সালের তুলনায় জোর ধাক্কা খেতে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। ব্যাপক সাফল্য পেতে পারে ইউপিএ।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের পর এক বিশ্লেষণে এমনই তথ্য উঠে এসেছে ইংরেজি নিউজ পোর্টাল ‘NewsClick.in’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত ৯৫ টির মধ্যে পন্ডিচেরিকে বাদ দিয়ে ৯৪ টি কেন্দ্র নিয়ে তারা সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ করেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ পেতে পারে ৫৯ টি আসন, যেখানে ২০১৪ সালে তারা পেয়েছিল মাত্র ১৮ টি আসন। অন্যদিকে, এনডিএ’র আসন ৩৩ থেকে কম হতে পারে ২১।
সাত দফার মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে গত ১৮ ই এপ্রিল। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নতুন করে জোট গঠন এবং বিভিন্ন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে নিউজ পোর্টাল NewsClick.in দ্বিতীয় দফার ভোটের পর ১৯ শে এপ্রিল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় যে ৯৫ টি আসনে ভোট হয়েছে তাতে ইউপিএ জোটের কাছে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ জোট।
NewsClick.in এর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর উপ-নির্বাচনের ফলাফল ও অন্যান্য ফ্যাক্টর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজেপি জোটের হারের আশঙ্কা প্রবল। গত ১৮ এপ্রিল পূর্ব ঘোষিত ৯৭ কেন্দ্রের মধ্যে ৯৫ টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিপুল কালো টাকা উদ্ধার ও হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে তামিলনাড়ুর ভেলোর এবং পূর্ব ত্রিপুরার ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট শেষে NewsClick.in সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ, পন্ডিচেরি কেন্দ্র বাদে ৯৪ টি আসনের ৫৯ টিতে জিততে পারে ইউপিএ জোট। তামিলনাড়ুর ৩৯ টির মধ্যে ৩৮ টি কেন্দ্রই ইউপিএ ও এনডিএ জোটের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধান তৈরি করবে। ২০১৪ সালে জয়ললিতার এআইএডিএমকে ৩৯ টি আসনের মধ্যে ৩৭ টিতে জয়লাভ করেছিল। ১ টি করে আসন জিতেছিল বিজেপি ও পাত্তালি মাক্কাল কাচি। কিন্তু জয়ললিতার মৃত্যুর পর দলের ব্যর্থতা সুবিধা করে দিয়েছে ইউপিএ’কে। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ, এবারের সাধারণ নির্বাচনে এআইএডিএমকে পেতে পারে মাত্র ১০ টি আসন। ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোট জিততে পারে ২৮ টি আসনে। অন্যদিকে, যে উত্তর-পূর্বে ২০১৪ সালে বিপুল জনসমর্থন পেয়েছিল মোদী সরকার, সেই ‘ম্যাজিক’ স্তিমিত হয়ে এসেছে এই নির্বাচনে। এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোটের কাছে বিজেপি ধাক্কা খেতে পারে উত্তর প্রদেশেও।
রাজ্যভিত্তিক বিধানসভা ভোটের ফলাফল থেকে শুরু করে বর্তমান ভোটারদের পছন্দ বিশ্লেষণ করে NewsClick.in জানাচ্ছে, মোদী সরকারের আমলে বেকারত্ব, কৃষক অসন্তোষ, বিভাজনের রাজনীতি ছাড়াও বেশ কিছু আঞ্চলিক ফ্যাক্টরের ফলে বিজেপিকে বড় মূল্য দিতে হতে পারে সাধারণ নির্বাচনে।
Comments are closed.