মধ্যরাতে সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill)। বিল পাশের পক্ষে মত দেন ৩১১ জন, বিপক্ষে ৮০ জন। সোমবার সকালে অধিবেশনের শুরুতে বিল পেশের সময়ও ভোটাভুটি হয়। সেখানে বিল পেশের পক্ষে মত দেন ২৯৩ জন এবং বিপক্ষে মত দেন ৮২ জন। তারপর সারাদিন ধরে চলে বিলের উপর আলোচনা। শেষ প্রায় রাত বারোটা নাগাদ হয় চূড়ান্ত ভোটাভুটি। সেখানে সহজেই পাশ হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানান, কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছিল, সেই কারণেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) আনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা এই বিলের পক্ষে আরও সুরক্ষিত থাকবেন। তাঁদের বিপদে ফেলা সরকারের উদ্দেশ্য নয়।
সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত এলাকা এবং ইনার লাইন পারমিট থাকা রাজ্যে এই বিল লাগু হবে না। তবে মনিপুর ইনার লাইন পারমিটের অন্তর্গত ছিল না। অমিত শাহ ঘোষণা করেন, মনিপুরকে ইনার লাইন পারমিটের আওতায় আনা হচ্ছে। যতদিন এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, ততদিন সেখানে এই আইন লাগু হবে না।
বিলের পক্ষে ভোট দেয় বিজেপি, শিবসেনা, নীতিশ কুমারের জেডিইউ, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি, রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আরএলডি, এআইএডিএমকে, এনডিপিপি (নাগাল্যান্ড), এমএনএফ (মিজোরাম), এনপিএফ (মনিপুর) এবং এনপিপি (মেঘালয়) এর ৩১১ জন সাংসদ। অন্যদিকে বিলের বিপক্ষে ভোট দেয় কংগ্রেস, তৃণমূল, টিআরএস, ডিএমকে, এনসিপি, বিএসপি, এসপি, এআইএমআইএম, আইইউএমএল, এআইইউডিএফ, সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা, ভিসিকে (তামিলনাড়ু), কেরল কংগ্রেস (এম), আম আদমি পার্টি, আরএসপি, সিপিআই এবং সিপিএমের ৮০ জন সাংসদ।
এই বিল অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অ-মুসলিমরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে বাধ্য হয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিলে, তাঁদের এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে একই কারণে ওই তিন দেশ থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এ দেশে আশ্রয় নিলে, তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন না।
Comments are closed.