সাবরীমালা মন্দির নিয়ে কেরলে গেরুয়া শিবিরের সর্বাত্মক আন্দোলনও ডিভিডেন্ড দিল না বিজেপিকে। দুরন্ত ফল সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের। কেরলজুড়ে স্থানীয় উপনির্বাচনে ৩০ টি আসনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি আসনে জয় পেলেন বাম প্রার্থীরা। খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (UDF) পেয়েছে ১২ টি আসন। বাকি ২ টি আসনের একটি পেয়েছে রেভলিউশনারি মার্ক্সিস্ট পার্টি (RMP), অন্য আসনে জয় পেয়েছেন এক কংগ্রেস-বিক্ষুব্ধ প্রার্থী। একটি আসনও পায়নি বিজেপি। অন্যদিকে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম জোটের দখলে ১৬ টি আসন। কেরলের ১৪ টির মধ্যে ১২ টি জেলায় সম্প্রতি ৩০ টি পুরসভা-পঞ্চায়েত আসনে নির্বাচন হয়। শুক্রবার তার ফলাফল বেরোয়। সাবরীমালা ইস্যুতে এত আন্দোলনের পরেও লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কেরলে স্থানীয় পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি আসনেও জিততে না পারা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত বছরের ২৮ শে সেপ্টেম্বর সাবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সেই রায় কার্যকর করতে বধ্যপরিকর পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন বাম সরকার। এই প্রেক্ষিতে কেরল সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামে গেরুয়া শিবির। হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ তুলে রাজ্যে ধর্মঘটের পাশাপাশি মন্দিরে প্রবেশ করা থেকে মহিলাদের আটকানো, ভাঙচুর, আগুন, গত চার মাস ধরে সবই দেখেছে কেরলবাসী। প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, কেরলে গিয়ে বিজয়ন সরকারের দিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির সমস্ত শীর্ষ নেতা। এই প্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবিরের প্রত্যাশা ছিল, প্রথমবারের জন্য কেরলে সাবরীমালা মন্দির-বিতর্কের হাত ধরে ভাল ফল করার। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া স্থানীয় উপনির্বাচনগুলিতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী-অমিত শাহের দল। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে কেরল-কৌশল নিয়ে নতুন করে মাথা ঘামাতে হবে বিজেপিকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.