বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষেই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা হইচই বাধান। কংগ্রেস এ ব্যাপারে আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা তা খারিজ করে দিতেই কংগ্রেস সদস্যরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। সংসদের ওয়েলে নেমে আসেন তাঁরা। লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছি। কিন্তু আপনি তা আনতে দিচ্ছেন না। নির্বাচনী বন্ড একটা আর্থিক কেলেঙ্কারি। কংগ্রেসের অপর সদস্য মণীশ তিওয়ারি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও জড়িয়ে নির্বাচনী বন্ডকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নাম উঠছে দেখেই স্পিকার মণীশের মাইক বন্ধ করে দেন। পরে কংগ্রেস দুই কক্ষ থেকেই ওয়াক আউট করে। রাজ্যসভাতেও প্রশ্ন-উত্তর পর্বে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিরোধীরা হই-হট্টগোল করেন।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে আহমেদ প্যাটেল দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই স্থির হয় লোকসভা ও রাজ্যসভায় নির্বাচনী বন্ডের ইস্যুতে প্রতিবাদ করতে হবে। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ছ’ হাজার কোটি টাকার ৯৫ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, তথ্য জানার অধিকার আইনে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নির্বাচন কমিশন এমনকী অর্থমন্ত্রকের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই প্রধানমন্ত্রী নিয়ম ভেঙে নিজেই দলের টাকা পাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছেন। রাজ্যসভায় এবং লোকসভায় সরকার পক্ষ কিছু না বললেও পরে রাতে ময়দানে নামে বিজেপি। দলের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করতে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে। তাঁর দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নির্বাচন কমিশন ও অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেই এই বন্ড চালু করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি যাতে সৎ পথে টাকা নিতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। পীযূষের অভিযোগ, কয়েক দশক ধরে কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতা দুর্নীতির কারণে ধনী হয়েছেন। তাঁরাই এখন সৎ পথে টাকা আসা রুখে দিতে চাইছেন। এই বন্ডের মাধ্যমে যে কেউ যে কোনও রাজনৈতিক দলকে টাকা দিতে পারেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের হইচই করে কোনও লাভ হবে না। দেশের মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে।