ধেয়ে আসছে ফণী, কড়া সতর্কতা উপকূল জুড়ে, ওড়িশার ১১ জেলায় তুলে নেওয়া হল নির্বাচনী বিধি

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। মৌসম ভবন বলছে, শুক্রবার দুপুর নাগাদ ওড়িশা উপকূলের উপর ঘন্টায় ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন। ক্ষতির আশঙ্কায় ওড়িশার সমূদ্র তীরবর্তী ১১ টি জেলায় পঞ্চম দফার নির্বাচনী আচরন বিধি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওড়িশার পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, গঞ্জাম, খড়দা, কটক জাজপুরে ঘূর্ণীঝড়ের তীব্র প্রভাবের আশঙ্কায় প্রত্যাহার করা হয়েছে ভোটপর্ব। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে গজপতি, গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, কটক, জগৎসিংহপুর, জাজপুর, বালাসোর, কেন্দ্রাপাড়া, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানলে। বৌধ, কালাহান্ডি, সম্বলপুর, দেবগর-সহ ওড়িশার বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। পুরী থেকে পর্যটকদের অতি সত্ত্বর সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী এবং সেনা হেলিকপ্টারকে উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়েছে ফণী। পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। ফনীর প্রভাব পড়তে পারে অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে। সেই মতো পরিস্থিতির মোকাবিলায় তিন রাজ্যের ত্রাণ, বিপর্যয় মোকাবিলা, বিমান বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় ফণীর প্রভাব পড়বে, বলে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর। এদিন হাওড়ার আন্দুলের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি নিজে গোটা পরিস্থিতি তদারকি করছেন। তৈরি রয়েছে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতর।

Comments are closed.