মহাত্মা গান্ধী হত্যার ঘটনায় ফের তদন্তের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। মুম্বইয়ের গবেষক জনৈক পঙ্কজ ফড়নিস গান্ধী হত্যা মামলায় কয়েকটি নতুন তথ্য এনে শীর্ষ আদালতে পুনর্তদন্তের আবেদন করেছিলেন। তাঁর অভিমত, গান্ধী হত্যার পেছনে বড় ষড়যন্ত্র ছিল।
১৯৪৮ সালে ৩০ শে জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করা হয়। মোট ৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের ও খুনের জন্য মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে একজন পলাতক ছিল। ১৯৪৯ সালে গান্ধী হত্যা মামলায় ৮ জনের মধ্যে ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদের মধ্যে নাথুরাম ও নারায়ন আপ্তেকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। পঙ্কজ ফড়নিসের মতে ‘থ্রি বুলেট থিওরি’ অর্থাৎ গান্ধীজির বুকে তিনটি গুলি করেন নাথুরাম গডসে। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য প্রমাণাদি গবেষণা করে তাঁর পর্যালোচনা, গান্ধীজির বুকে মোট চারটি গুলি করা হয়। এই চার নম্বর বুলেট কে চালিয়েছিল তাই নিয়ে পুনর্তদন্তের আবেদন করেন পঙ্কজ ফড়নিস। তিনি বিভিন্ন বই ও গান্ধীজির মৃত্যুর ফরেনসিক রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি গান্ধী হত্যায় পিটিশন দাখিল করেন শীর্ষ আদালতে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ শে মার্চ তাঁর পিটিশন খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু আবারও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন পঙ্কজ ফড়নিস। এবার তিনি তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলে ধরেন লরেন্স ডি সিলভার ‘হু কিলড গান্ধী’ও পামেলা মাউন্টব্যাটনের লেখা ‘ইন্ডিয়া রিমেম্বারড’, এই দুটি বই। পঙ্কজবাবু দাবি করেন, এই দুটি বইতে ইঙ্গিত রয়েছে গান্ধী হত্যায় জড়িত ছিলেন ক্ষমতার উর্দ্ধে থাকা বিশেষ কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিত্বরা। তিনি শীর্ষ আদালতে এও দাবি করেন, আমেরিকার এক বিখ্যাত বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন, গান্ধীজির বুকে মোট চারটি ক্ষতচিহ্ন ছিল।
যদিও সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এল এন রাওয়ের পর্যালোচনা, পঙ্কজ ফড়নিসের পিটিশনের তথ্য ও প্রমাণাদি বিচার করে তাঁরা কোনও প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাননি। এর পরেই এই রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
Comments are closed.