বুধবার করতারপুর করিডরের উদ্বোধনে গিয়ে শান্তির বার্তা দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি নাম না নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে এদিন ইমরান বলেন, আশা করি সিধুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফিরতে। প্রসঙ্গত, এদিন করতারপুর করিডোর খোলার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা, পঞ্জাবের মন্ত্রী এবং ইমরানের বন্ধু নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।
এদিন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে সমস্যা সমাধান সম্ভব সুস্থ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। পাকিস্তান সরকার এবং সেনা সবাই চায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হোক। ইমরান বলেন, যখনই তিনি ভারতে এসেছেন তখন একটা কথা বারবার শুনেছেন যে, পাকিস্তান সেনা চায় না ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠুক। তিনি এই ‘তত্ত্ব’ খারিজ করে জানান,পাকিস্তান সেনা ও সরকার সবাই চায় দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। আর তা সম্ভব আলোচনার মাধ্যমেই।
এরপরই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিধুর কথা উল্লেখ করে ইমরান বলেন, পাকিস্তানের আসার জন্য কেন ভারতে সিধুর সমালোচনা হয় জানি না। আশা করি সিধুর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফিরতে। প্রসঙ্গত, ইমরানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সিধুর যাওয়া নিয়ে আগে বিতর্ক হয়েছিল। এবার সিধুর কথা উল্লেখ করে নাম না করে ইমরান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বলে মনে করছেন অনেকে। হয়তো তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, মোদী বা অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকলে শান্তি ফিরবে না।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর ও অমৃতসরে সাম্প্রতিক নাশকতার ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে ভারত। ২০১৬ সালের মতো এবারেও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ‘সার্ক’ সম্মেলনে ভারত যোগদান নাও করতে পারে বলে খবর। বুধবার করতারপুর করিডর খোলার অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ভারতের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল, হরদীপ সিংহ ও পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিংহ সিধু উপস্থিত হন ওই অনুষ্ঠানে। করতারপুর প্রসঙ্গে সুষমার সাফ বক্তব্য, শুধু একটা করিডর খুলে দিলেই দু’দেশের আলোচনার পথ খুলে যাবে না। আগে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে কড়া অবস্থান নিলে তারপর আলোচনা।
Comments are closed.