ভারত-পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার বার্তা রাষ্ট্রপুঞ্জের, জঙ্গি হানার ঘটনায় মোদীর পাশে ট্রাম্প

পুলওয়ামার ফিদায়েঁ জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের তলানিতে ঠেকেছে। সন্ত্রাসবাদীদের মদত জোগানোর অভিযোগে পাকিস্তানকে কাঠগোড়ায় তুলছে ভারত। অন্যদিকে, পুলওয়ামায় ফিদায়েঁ জঙ্গি হানায় তাঁরা কোনওভাবে জড়িত নয় বলে দাবি করে পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আঘাত হানলে কড়া জবাব দেবেন তাঁরাও। এই আবহে আমেরিকা ও ইজরায়েলের সমর্থন পেল ভারত। অন্যদিকে, দু’দেশকেই সংযত হওয়ার জন্য আবেদন রাখল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ যে ক্রমশ চড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তেজনা কমাতে দু’দেশই যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রধানের মুখপাত্র স্টেফানি ডুয়ারিচ এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, দু’দেশ চাইলে তাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী রাষ্ট্রপুঞ্জ।
অন্যদিকে, পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি হানাকে ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিত’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোলার কিছুক্ষণ পরেই ওভালে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প জানান, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন তিনি। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সঠিক সময়ে বিবৃতি দেবেন। তবে ভারত ও পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে এব্যাপারটা মিটিয়ে ফেললে তা বেশি ভাল হবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার বলেন, পাকিস্তানি মাটিতে জঙ্গি সংগঠনের মুক্তাঞ্চল গড়ে উঠেছে। এবার পাক সরকারের উচিত জঙ্গি সংগঠনগুলির প্রতি কড়া পদক্ষেপ করার।
সন্ত্রাসবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ভারতকে নিঃশর্ত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে ইজরায়েল। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলের নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডঃ রণ মালকা বলেন, শুধু ভারত বা ইজরায়েল নয়, গোটা বিশ্বেরই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্ত্রাসবাদ। তাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সর্বদা ভারতের পাশে রয়েছে ইজরায়েল।

Comments are closed.