লকডাউনে কাজ করতে কী সমস্যা হচ্ছে, রাজ্যের সমস্ত সংস্থা এবং চেম্বার অফ কমার্সের কাছে জানতে চাইল তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স দফতর

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে টানা লকডাউন, আর তার জেরে ব্যবসা ও শিল্পক্ষেত্রে যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে  রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র থেকে বাণিজ্য মহলের অসুবিধা যথাসম্ভব দূর করার জন্য একটি সমীক্ষার আয়োজন করেছে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স দফতর।
রাজ্যের সমস্ত চেম্বার অফ কমার্স, বাণিজ্য সংগঠনকে এই সমীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করে রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অভাব, অভিযোগ, অসুবিধা জানার জন্য এই পদক্ষেপ।
এই সমীক্ষায় অংশ নিতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স দফতরের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। কী কী রয়েছে এই ফর্মে? সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি, কোন সংস্থায় কোন পদে তিনি কাজ করছেন, লকডাউনের সময় সেই সংস্থা বা বাণিজ্য সংস্থায় কত শতাংশ কর্মী কাজ করছেন, সংস্থার কোনও কর্মী বা আবেদনকারী নিজে কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণ সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় পড়েছেন কি না জানতে চাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, সংস্থা বা শিল্প ক্ষেত্রের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের অপশন রয়েছে কিনা, যদি থেকে থাকে ওই কর্মীদের কীভাবে কর্ম সম্পাদনে সহায়তা করা হচ্ছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই সমীক্ষায়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যখন পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং- এ জোর দেওয়া হচ্ছে, তখন সংশ্লিষ্ট সংস্থা অথবা শিল্পকেন্দ্র তা কর্মীদের মেনে চলতে বলছে কিনা, তাঁদের এ সম্পর্কে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এই সব তথ্য ছাড়াও সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর মতামত, পরামর্শ, অভাব-অভিযোগ তুলে ধরার একটি জায়গা রয়েছে ফর্মে।
এই সমীক্ষা বিচার ও বিশ্লেষণ করে লকডাইনের মধ্যেও যাতে তথ্যপ্রযুক্তি ও বাণিজ্য সংস্থাগুলি সুবিধাজনক ভাবে কাজ করতে পারে, কর্মীরা নিরাপদে নিজেদের কর্তব্য রক্ষা করতে পারেন, তার জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রিক্স দফতর।

 

Comments are closed.