ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী তহবিল তোলার পদ্ধতি এবারই প্রথম সফলভাবে প্রয়োগ করল বামপন্থীরা। বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার শুক্রবারই ফেসবুকে জানিয়েছেন, ২৩ দিন বাকি থাকতেই নির্ধারিত ৭০ লক্ষ টাকা উঠে গিয়েছে তাঁর। এবার কানহাইয়ার পথেই সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার ফেসবুকে সেলিম জানিয়েছেন, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেই জন্য কানহাইয়ার পর এবার তিনিও ক্রাউড ফান্ডিংয়ের রাস্তা ধরলেন। রায়গঞ্জের বাম প্রার্থীকে জিতিয়ে সংসদে পাঠিয়ে, তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মহম্মদ সেলিম সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের কাছে তাঁকে অর্থ সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন।
এর আগে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী তহবিল গড়ার কাজে নেমেছিলেন জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমার। একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁকে অনুদান দেওয়ার আবেদন রেখেছিলেন বেগুসরাই কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী। সময় ফুরনোর অনেক আগেই নির্ধারিত ৭০ লক্ষ টাকা উঠে গিয়েছে বলে শুক্রবারই ফেসবুকে জানিয়েছেন কানহাইয়া। এক ফেসবুক বার্তায় কানহাইয়া বলেন, বিভিন্নভাবে তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তহবিল সংগ্রহ রুখতে করানো হয়েছে একের পর এক সাইবার হামলা। কিন্তু কিছু করেই কানহাইয়ার জন্য সমর্থন এবং অনুদান ঢোকা বন্ধ করা যায়নি।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এক একটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন। এদিন মহম্মদ সেলিম একটি ফেসবুক বার্তায় লেখেন, আপনারা যদি চান সাংসদ হিসেবে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাই, তাহলে যতটা পারবেন, যতটুকু পারবেন, রায়গঞ্জে আমাদের নির্বাচনী তহবিলে অর্থরাশি পাঠিয়ে সাহায্য করুন।
Comments are closed.