‘আমার ২০ বছরের পরিশ্রম ব্যর্থ হয়েছে, আজ জীবনের অন্ধকারতম দিন’, কোচের মন্তব্যের পর ট্যুইট মিতালী রাজের
টি ২০ ওয়ার্ল্ড কাপের সেমি-ফাইনালে নিজের জায়গা না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মিতালী রাজ। অভিযোগ তুলেছিলেন কোচ রমেশ পাওয়ার ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কমিটির সদস্য ডায়না এডুলজির দিকে। বিসিসিআই’কে ই-মেল করে মিতালী জানান, বিভিন্ন সময়ে কোনও কারণ ছাড়াই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন কোচ। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন ডায়না এডুলজির বিরুদ্ধেও। তাঁর দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনে এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত ও অপমানিত বোধ করেছেন বলে জানান তিনি। অভিযোগ করেন, তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। পরিণাম খারাপ হতে পারে জেনেও এই অভিযোগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে ওই চিঠিতে জানান মিতালী।
সেমি ফাইনালে তাঁকে বসিয়ে রাখায় আগেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এরপর নিজের বাদ পড়া নিয়ে মিতালীর ই-মেল ঘিরে আলোড়ন পড়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেট মহলে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ রমেশ পাওয়ার বোর্ডকে দেওয়া ১০ পাতার রিপোর্টে দাবি করেছেন, মিতালী দলের কথা না ভেবে নিজের জন্য খেলতেন। দেশের স্বার্থের থেকে নিজে ‘মাইলস্টোন’ গড়া নিয়ে বেশি ভাবেন মিতালী। এখানেই শেষ নয়, কোচ রমেশ পাওয়ার জানিয়েছেন, সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করতেন না মিতালী। টিম মিটিং-এ কোনও পরামর্শ বা মত দিতেন না। মিতালী ‘প্রফেশনাল’ নয় বলেও আঙুল তুলেছেন কোচ। নেটে অনুশীলনের সময়েও মিতালী তাড়াহুড়ো করতেন। নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোচ বা অধিনায়কের সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না মিতালী। তাঁর এই আচরণকে একেবারেই মেনে নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন কোচ।
এরপর সেমি-ফাইনালের দিন টিম ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করে মিতালীকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে এব্যাপারে অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান রমেশ। তিনি বলেন, ‘আগে দেশের স্বার্থ,পরে মিতালী রাজ।’
রমেশের এই অভিযোগ পত্র সামনে আসার পরে বস্তুত ভেঙে পড়েন মিতালী রাজ। তাঁর কেরিয়ারের ‘অন্ধকারতম দিন’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কোচের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি ট্যুইট করেন যে, তাঁকে নিয়ে এই কুৎসায় তিনি অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। তাঁর ২০ বছরের কমিটমেন্ট, ঘাম আর পরিশ্রম ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর দেশাত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, এছিল তাঁর ভাবনার অতীত।
Comments are closed.