মোদী রাজ্য গুজরাতে দারিদ্র্যের কারণে আত্মহত্যার হার প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় বেড়েছে ১৬২ শতাংশ, ২০১৮ সালে বেকারত্বের কারণে আত্মহননের হার ২১ শতাংশ। এমনই তথ্য উঠে এল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্টে।
অর্থনীতিতে দুর্বল ছবি দেশজুড়ে। এনসিআরবির রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালে গুজরাতে ২৯৪ জনের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ‘দারিদ্র্য’।
গত বৃহস্পতিবার এনসিআরবি-র প্রকাশিত ‘ভারতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আত্মহত্যা’ সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, গুজরাতে ২০১৮ সালে মোট ৩১৮ জন মানুষের আত্মহত্যার মূল কারণ বেকারত্ব। ২০১৭ সালের চেয়ে যা ২১ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালে আহমেদাবাদে ৩১ জন এবং ভাদোদরায় ১৮ জন ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বেকারত্বের জ্বালায়। শুধু তাই নয়, ৬৭ জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন দেউলিয়া হয়ে। গুজরাতে ১৩৬ জন যুবকের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পেশাগত ইস্যু।
তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা। ২০১৭ সালে যেখানে এই রকম পেশার মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২,১৩১ টি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২,৫২২ টি। অর্থাৎ, এক বছরে ১৮.৩ শতাংশ বেড়েছে এই মৃত্যু হার। ‘বেকার’ হিসেবে চিহ্নিত আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ২০১৭ সালে ছিল ৩৬৯ জন, ২০১৮ সালে তা হয়েছে ৪১১ জন। এক বছরে বেকারের মৃত্যু হার বেড়েছে ১১.৩ শতাংশ। ৮৯১ টি কেসে আত্মহত্যাকারীরা চিহ্নিত হয়েছেন ‘সেল্ফ এমপ্লয়েড’ হিসেবে। তাও ২০১৭ সালের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি।
‘প্রফেশনাল’ বা পেশাগত কারণে আত্মহত্যার হার মাত্র ১ শতাংশ কমেছে। ৮৬৯ থেকে এই সংখ্যাটা ঠেকেছে ৮৫৬ তে। ৭৫ টি মামলায় আত্মহত্যাকারীরা ছিলেন সরকারি চাকুরে। যে সংখ্যাটা ২০১৭ সালের চেয়ে ৬৯ জন বেশি। ২৬০ টি কেসে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আত্মহত্যার হারও এক বছরে বেড়েছে ১১.৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে ৭,৭৯৩ টি আত্মহত্যার মধ্যে ৭৩.৩ শতাংশ মানুষের বার্ষিক আয় এক লক্ষ টাকার নীচে। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশের বার্ষিক আয় ছিল ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। ৫ লক্ষ টাকার উপর উপার্জনকারী মানুষের আত্মহননের হার ২০১৭ সালের তুলনায় ৫৫.৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৭ সালে ছিল ১৮২ টি, ২০১৮ তা এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ তে।
Comments are closed.