সংগঠন ও মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর এবার সংবাদমাধ্যমে দলের মুখপাত্রদের প্যানেল, নয়া নির্দেশিকা জারি তৃণমূলের

লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরই দলীয় সংগঠনে একাধিক রদবদল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বদল এসেছিল মন্ত্রিসভাতেও। এবার বদল এল দলের মুখপাত্রদের তালিকায়। সংবাদ মাধ্যমে দলের বক্তব্য জানাতে জারি হল নয়া নির্দেশিকা।

নির্দিষ্ট মুখপাত্ররা ছাড়া, অন্য কেউ যদি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নিজেকে তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচয় দেন, তবে তাঁর মন্তব্যের দায় দল নেবে না বলে তৃনমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩ রা জুন তৃণমূলের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মোট ৬ জন নেতাকে দলের জাতীয় মুখপাত্রের পদ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র তাঁরাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন। তৃণমূলের যে ৬ জন নেতাকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মৈত্র ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী।
এই ৬ জন বাদে অন্য কেউ তৃণমূলের নেতা বা সমর্থকের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বিবৃতি বা মন্তব্য করলে, তা তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য হিসেবেই গণ্য করা হবে, বলে জানিয়েছে তৃণমূল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তৃণমূলের এই ৬ জন নেতা বাদে অন্য কাউকে যদি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল যেন সেই ব্যক্তিকে তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে পরিচয় না দেয়।
লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি, সংগঠনও এবার দেখবেন তিনি। এরপরেই জেলায় জেলায় তৃণমূলের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল হয়। এবার দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছাড়া, অন্য কাউকে দলীয় অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখতেই দলনেত্রীর এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.