২০১৫ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি দুষ্কৃতীরা সমাজকর্মী গোবিন্দ পানসারেকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৩ সালে গুলি করে হত্যা করা হয় নরেন্দ্র দাভোলকারকে। কিন্তু কোনও মামলাতেই আজ পর্যন্ত ধরা পড়েনি আততায়ীরা।
বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি বি পি কোলাবাওয়ালা। তদন্তে ধীরগতির জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালতের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরেরও দায়িত্বে রয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস। অথচ খুনের তদন্তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছেন না বলে উষ্মা প্রকাশ করে বম্বে হাইকোর্ট। আদালত জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর উপলব্ধি করা উচিত, তাঁরা কোনও দলের হয়ে নয়, রাজ্যের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। দুটি মামলাতেই তত্পরতার অভাব রয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করে বম্বে হাইকোর্ট।
দাভোলকার হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই এবং গোবিন্দ পানসারের হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। সিআইডির আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, হত্যাকারীদের ধরতে পুরস্কারের অর্থ বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই যুক্তিকে নাকচ করে বম্বে হাইকোর্টের প্রশ্ন, অপরাধীদের ধরার জন্য সরকার কি সাধারণ মানুষের ওপর ভরসা করছে? এরপরই আদালত বলে, সাধারণ মানুষকে মুখবন্ধ রাখার জন্য অনেক বেশি অঙ্কের টাকা দিতে পারে অপরাধীরা।
অন্যদিকে, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, দাভোলকারের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে এবং চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজ ঠিক রাস্তায় এগোচ্ছে বলে দাবি করে আদালতের কাছে আরও সময় চায় সিবিআই।
মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশ, লেখক এম এম কালবুর্গি, সিপিআই নেতা গোবিন্দ পানসারে ও যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকারের খুনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে এটা পরিষ্কার। গৌরি লঙ্কেশ খুনে আটক হওয়া এক অভিযুক্ত পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছিল, মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির নির্দেশে সে খুনের পর আগ্নেয়াস্ত্র নষ্ট করে ফেলেছিল। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, তা স্বত্ত্বেও মহারাষ্ট্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপরই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বম্বে হাইকোর্ট।
Comments are closed.