যে রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি তাই আসল, খসড়া নয়, কেন্দ্রকে নিশানা ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল কমিশনের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান
কেন্দ্র তথ্য প্রকাশ করতে দিচ্ছে না, এই অভিযোগে কয়েকদিন আগেই ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল কমিশনের (জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশন) ভারপ্রাপ্ত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন পি সি মোহনন। তাঁর পদত্যাগের পরেই বিরোধীদের আক্রমণের নিশানা হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এনডি টিভি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের সেই অভিযোগকেই কার্যত শিলমোহর দিলেন পি সি মোহনন।
তাঁদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এবং কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলেই ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল কমিশন (এনএসসি) বা জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন পি সি মোহনন। গত ২৮ শে জানুয়ারি তাঁর ইস্তফার পরের দিনই এনএসএসও-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর বেকারত্ব সবচেয়ে বেড়েছে দেশে। গত ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব বেড়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ হয়। সংবাদ মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরেই, বিরোধীরা মোদী সরকারকে একযোগে আক্রমণ শুরু করে। যদিও কেন্দ্র দাবি করে, এটি মূল রিপোর্ট নয়, খসড়া মাত্র।
সংবাদসংস্থা এনডি টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনএসসি’র প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান পি সি মোহনন দাবি করেছেন ওই রিপোর্টই আসল। গত ৫ ডিসেম্বর তাঁদের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। মোহনন ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, এরপরই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার এনএসএসও-এর যে রিপোর্টকে খসড়া বলে দাবি করছে তাকেই মূল রিপোর্ট বলে দাবি করেছেন পি সি মোহনন। তিনি বলেন, একবার যে রিপোর্টে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত রিপোর্ট। পাশাপাশি, তিনি বলেন, কমিশন অনুমোদিত রিপোর্টকে ভুল বললে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এনডি টিভিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মোহনন জানান, তাঁর পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, কোনও ব্যক্তিগত কারণে নয়, কেন্দ্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের জন্যই কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি এও জানান, সব সংস্থাকেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত, অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায় যে কোনও সংস্থার।
Comments are closed.