নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে জেডিইউ-র সমর্থনের নিন্দা করে ফের মুখ খুললেন নীতিশ কুমারের দলের জাতীয় সহ সভাপতি তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। বুধবার এক ট্যুইটে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিতে সম্মত হয়ে নীতিশ কুমার বিহারের ভোটারদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। সোমবার লোকসভায় জেডিইউ এই বিলকে সমর্থন করার পরেও প্রশান্ত কিশোর তাঁর দলের নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ট্যুইটের মাধ্যমে। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে দলের জাতীয় সহ সভাপতির এই ধারাবাহিক আক্রমণকে ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি তাঁর পলিটিক্যাল বসের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বিচ্ছেদ ঘটতে চলেছে? রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। ট্যুইটে প্রশান্ত কিশোর নীতিশকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভার ভোটে আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নীতিশ কুমারের জয় এসেছিল। আবার ২০১৭ সালে তিনি লালুপ্রসাদের আরজেডি এবং কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন।
শুধু প্রশান্ত কুমার একা নন, জেডিইউ-এর আর এক প্রভাবশালী নেতা পবন ভার্মাও নীতিশ কুমারকে এই বিলটি সমর্থন করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলেন। মঙ্গলবার পবন এক বিবৃতিতে বলেন, এই বিলটি অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক এবং দেশের ঐক্য ও সম্প্রীতির বিরোধী। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যসভায় বিলটি সমর্থনের বিষয়টি ফের ভেবে দেখতে বলছি।
সোমবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয় লোকসভায়। সেদিনই জেডিইউ সাংসদরা এই বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। তিনি ট্যুইটে লিখেছিলেন, দেখে খারাপ লাগছে ধর্মের ভিত্তিতে যে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আসা হয়েছে তাতে সমর্থন করছে জেডিইউ। বুধবার রাজ্যসভায় এই বিল পেশের সময় ফের প্রশান্ত কিশোরের এই ট্যুইটে দলের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের আশঙ্কা দেখছে রাজনৈতিক মহল। বরাবরই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতাই করে এসেছেন প্রশান্ত। কয়েকদিন আগেই তিনি এক ট্যুইটে এনআরসির সমালোচনা করে লিখেছিলেন, ১৫ টির বেশি রাজ্যে, দেশের ৫৫ শতাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা। তিনি জানতে চান, এঁদের ক’জনের সঙ্গে এনআরসি চালু করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
Comments are closed.