সম্প্রতি রাজস্থানে ৪ দিনের বিলাসবহুল, রাজকীয় আয়োজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী এবং অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। স্বামী মার্কিন পপ গায়ক, অভিনেতা নিক জোনস। বিগত কয়েকদিন ধরেই ৩৬ এর প্রিয়াঙ্কা ও ২৬ এর নিক এর বিয়ের খবর ছিল দেশ বিদেশের আন্তর্জাতিক ট্যবলয়েড, ম্যাগাজিনগুলোর সংবাদ শিরোনামে।
কিন্তু এরই মাঝে একটি মার্কিন ম্যাগাজিনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে লেখা এক প্রতিবেদন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবেদনটিতে প্রিয়াঙ্কাকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ‘কাট ওয়েবসাইট’ নামক ওই অনলাইন ম্যাগাজিনটিতে বলা হয়েছে, হলিউডে নিজের অ্যাক্টিং কেরিয়ারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নিকের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলা হয়েছে, নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও একটি মিথ্যে সম্পর্কে জড়িয়ে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে হয়েছে নিক জোনসকে। প্রতিবেদনটিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ‘গ্লোবাল স্ক্যাম আর্টিস্ট’ বলে উল্লেখ করে বলা হয়, নিককে ফাঁসিয়ে নিজের সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য করেছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, নিক যদি লেখাটি পড়েন তবে তাঁর উচিত একটি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে যত দ্রুত সম্ভব এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা।
প্রতিবেদনটি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সংবাদপত্র ‘হিন্দুস্তান টাইমস’কে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানিয়েছেন, তিনি এই লেখা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চান না, দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না। প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, তিনি এখন জীবনের অন্যতম খুশির মুহূর্তে আছেন, এই ধরনের বাজে কিছু তা নষ্ট করতে পারবে না।
প্রতিবেদনটি সামনে আসতেই শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। ভারতীয় মহিলা, সাংবাদিক, অভিনেত্রীরা লেখাটিকে সরাসরি বর্ণবিদ্বেষী ও অপমানজনক বলে কটাক্ষ করেন। নিক প্রিয়াঙ্কার এক আত্মীয় এই লেখাটি নিয়ে আদালতের যাওয়ার হুমকিও দেন। এরপরই চাপে পড়ে, ক্ষমা চেয়ে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে ওই ম্যাগাজিনটি।
Comments are closed.