ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের রাফাল চুক্তি সইয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে চুক্তির জন্য তৈরি খসড়ায় লঘু করে দেওয়া হয় দুর্নীতি বিরোধী রক্ষাকবচের বেশ কিছু শর্ত। সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর আগে এই সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, এই ডিল নিয়ে গঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দিষ্ট কমিটির কাজকর্মের পাশাপাশি, আলাদাভাবে এই চুক্তিতে হস্তক্ষেপ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক নোট পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী। বিবৃতি দিতে হয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে।
দ্য হিন্দুর নয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, চুক্তিতে ডিফেন্স প্রকিওরমেন্ট প্রসেডিওর মেনে দুর্নীতি রোধে যে সব শর্তের কথা প্রথমে বলা হয়েছিল তা পরে লঘু করে দেওয়া হয়। চুক্তিতে, অনৈতিক প্রভাব খাটানো, এজেন্ট বা এজেন্সি দালালি বা গোপন নথিপত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপ রোধে কড়া দাওয়াইয়ের (পেনাল্টি) কথা বলা হয়েছিল। যাতে রাফাল যুদ্ধ বিমান প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা ড্যাসল্ট বা ফ্রান্সের মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা এমবিডিএ কোনও অনৈতিক কাজ করতে না পারে। কিন্তু সাক্ষরিত চুক্তিতে পরে এর অনেক শর্তই লঘু করে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন উঠছে, কেন শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে এই পরিবর্তন করা হল? এর ফলে ভারতীয় সেনার কী উপকার হবে? কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও ট্যুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন কোনও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি, পেনাল্টির কড়া শর্ত ছাড়া এই চুক্তি করল ভারত সরকার?
Comments are closed.