সাবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশের বিরোধিতায় রবিবার কেরলজুড়ে বিক্ষোভ বিজেপির। মন্দিরে সমস্ত বয়সী মহিলা প্রবেশ করতে পারবেন বলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার পর শনিবার, ১৭ ই নভেম্বর তৃতীয়বারের জন্য খুলেছে এই মন্দির। ইতিমধ্যেই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের বিষয় নিশ্চিত করতে কড়া অবস্থান নিয়েছে সেই রাজ্যের সিপিএম সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতায় কেরলে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস।
এই ইস্যুতে শনিবার বিজেপি নেতা কে সুরিন্দরকে গ্রেফতারের পর কেরলে রবিবার ১২ ঘন্টা ‘প্রোটেস্ট ডে’র ডাক দেয় বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা। সাবরীমালা মন্দিরের কাছেই থিরুভাল্লা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। শনিবার এমাসে তৃতীয়বার খোলা হয় সাবরীমালা মন্দির। পুলিশের বাধা অগ্রাহ্য করার অপরাধে নীলাক্কল বেস ক্যাম্প থেকে বিজেপি নেতা কে সুরিন্দরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয়। এরপরেই কেরলে শুরু হয় বিজেপির প্রতিবাদ। পুলিশের দাবি, হিন্দু ঐক্য বেদির সভাপতি কে পি শশীকলার মদতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে মন্দিরের বাইরে নিরাপত্তার নামে আতঙ্কের আবহ সৃষ্টি করছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দর্শনার্থীরা। দর্শনার্থীদের সুবিধার দিকে কোনও নজর দেওয়া হয়নি। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটে দাবি করেন, চরম নাজেহাল অবস্থায় আয়াপ্পা দর্শনার্থীরা।
তৃতীয় বারের জন্য সাবরীমালা মন্দির খোলার পর নিরাপত্তার জন্য ১৫ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করে কেরল সরকার। এর মধ্যে রয়েছন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীও।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা সাবরীমালার গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারেননি। মূলত বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে বিক্ষোভকারীরা মহিলাদের বাধাদান করে মন্দিরে যেতে। কোনও মহিলা প্রবেশের আগেই মন্দিরের মূল দরজা তিনি বন্ধ করে দেবেন, মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের এমন হুমকি এই বিক্ষোভের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে।
Comments are closed.