‘সম্পত্তি সন্তান, নাতি-নাতনিদের মধ্যে ভাগ করতে সময় লাগবে’, আত্মসমর্পনের জন্য সময় চাইলেন শিখ হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমার
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর দিল্লির রাজনগর এলাকার একটি পরিবারের পাঁচ জনের খুন এবং ধর্মীয় স্থানে ভাঙচুর করার অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। সোমবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি হাইকোর্ট। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য ৩০ দিন সময় চেয়েছেন তিনি। শুক্রবার তাঁর এই আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে বলে খবর। সজ্জনের আইনজীবী অনিল শর্মা দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে কিছুটা সময় লাগবে, সেই জন্য আত্মসমর্পণের জন্য সময় চান তাঁর মক্কেল।
অন্যদিকে, নিহতদের পরিবারের আইনজীবী এইচ এস ফুল্কা বলেন, তাঁদের তরফে এই আবেদনের বিরোধিতা করা হবে।
৭৩ বছর বয়সী প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতা আদালতকে জানান, তাঁর তিন সন্তান ও আট নাতি-নাতনি আছে। তিনি আত্মসমর্পনের আগে তাঁর সম্পত্তি ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মধ্যে ভাগ করে দিতে চান। তাই তাঁকে কিছুটা সময় দিক আদালত।
একই সঙ্গে, বৃহস্পতিবার আরও এক শিখ খুনের মামলায় অভিযুক্ত সজ্জন কুমারকে পাতিয়ালা হাউস আদালতে তোলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সুলতানপুরে জনৈক সুরজিৎ সিংহকে হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন প্রাক্তন এই কংগ্রেস সাংসদ। সজ্জন কুমার ছাড়াও ওই খুনের ঘটনায় ব্রহ্মানন্দ গুপ্তা ও বেদ প্রকাশ নামে আরও দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই।
চাম কৌর নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে জানান, ১৯৮৪ সালের ৩১ শে অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর শিখদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। পরদিন, ১ লা নভেম্বর সুলতানপুরিতে সজ্জন কুমার সঙ্গীদের নিয়ে পৌঁছোন এবং তাঁদের নির্দেশ দেন, এই শিখরা ‘মাকে মেরেছে (ইন্দিরা গান্ধী), তাই এঁদেরও মারতে হবে’। সজ্জন কুমারের ওই নির্দেশের পর শিখদের ওপর আক্রমণ শুরু হয়। মারা যান সুরজিৎ সিংহ নামে এক ব্যক্তি।
তবে এই মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে যায় বৃহস্পতিবার। আগামী বছরের ২২ শে জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে ঘোষণা করেন বিচারপতি।
Comments are closed.