শেষবার বলার সুযোগ, ধর্ষণ ও জোড়া খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রেখে সওয়ালের সুযোগ দিল সুপ্রিম কোর্ট

২০১০ সালে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে নাবালিকা ধর্ষণ ও জোড়া খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মনোহরণের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণ ও জোড়া খুনে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মনোহরণের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল ২০ শে সেপ্টেম্বর। কিন্তু একটি রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ ই অক্টোবর। সেদিন মনোহরণ নিজের বক্তব্য পেশ করার শেষ সুযোগ পাবেন।
এক নাবালিকাকে ধর্ষণ, তারপর নির্যাতিতা ও তার ছোট ভাইকে নির্মমভাবে খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত মনোহরণকে গত অগাস্ট মাসে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সে সময় মনোহরণের আইনজীবী শীর্ষ আদালতকে আর্জি জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার বিভিন্ন রেকর্ড পুনরায় খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। সেই সুযোগ দিয়েছে শীর্ষ  আদালত। ১৬ ই সেপ্টেম্বর মনোহরণের আইনজীবীকে মামলার পুনর্তদন্তের তথ্য পেশ করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ততদিন মৃত্যুদণ্ড রদ থাকে। কিন্তু ১৬ ই সেপ্টেম্বর মনোহরণের আইনজীবী আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর এফ নরিমান, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে আর্জি জানান। মনোহরণের আইনজীবীর আর্জি, তাঁর সহকারী আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথেরা সেদিন উপস্থিত হতে পারেননি। তাই তাঁদের আরও সময় দেওয়া হোক। মনোহরণের আইনজীবীর এই আবেদন মেনে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মনোহরণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট!
২০১০ সালের অক্টোবরে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে মনোহরণ ও মোহনকৃষ্ণণ নামে এক পুরোহিতের বিরুদ্ধে বছর দশের নাবালিকাকে ধর্ষণ, এরপর নাবালিকা ও তার ভাইকে খুনের অভিযোগ ওঠে।
প্রথমে নাবালিকা ও তার ভাইকে অপহরণ করা, তারপর নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং বিষ খাইয়ে তাকে ও তার ভাইকে খালের জলে ছুঁড়ে ফেলে মারার অভিযোগ ওঠে মনোহরণ ও মোহনকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে।
এরপর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় মোহনকৃষ্ণণের। নিম্ন আদালত মনোহরণকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মনোহরণের আইনজীবী। কিন্তু হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়েই সিলমোহর দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যান মনোহরণের আইনজীবী। সেখানেও রায় বদলায়নি। এই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন মনোহরণের আইনজীবী। সেই মামলাতেই বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ ফাঁসির আসামীকে শেষবার নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিলেন।

Comments are closed.